সামনেই ছট পুজো! এই পুজোতে পুণ্যার্জন করতে জানুন কিছু বিশেষ নিয়ম

30
সামনেই ছট পুজো! এই পুজোতে পুণ্যার্জন করতে জানুন কিছু বিশেষ নিয়ম

আর কিছুদিনের মধ্যেই আসতে চলেছে পরপর কটি বিশেষ উৎসব। তার মধ্যে রয়েছে ধনতেরাস, দীপাবলি এবং ছট পুজো। এই ছট পূজা মূলত অবাঙালিদের পুজো। এই পুজো তারা সূর্য দেবতার আরাধনা করে পালন করেন। কঠোর নিয়ম নিষ্ঠা পালন করে অবাঙালিরা সূর্যদেবের কাছে পরিবারে সুখ এবং শান্তির জন্য কামনা করেন।

এই ছট পুজো তে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। কিছু বিশেষ নিয়ম না মেনে চললে এই পুজোতে পুণ্যার্জন করা সম্ভব নয়। যদি আপনি মানতে পারেন কিছু নিয়ম, তাহলে অচিরেই আপনার সংসার গড়ে উঠবে সুখে এবং সমৃদ্ধিতে।

দূর্গা পূজার মত চার দিন পালন করা হয় ছট পুজো। প্রথম দিন নহায় খায়, দ্বিতীয় দিন খরনা, তৃতীয় দিন অর্ঘ্য, এবং চতুর্থ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্য। এই পুজো রীতিনীতি অন্যান্য পুজোর থেকে অনেকটাই কঠিন। সূর্যদেবকে সন্তুষ্ট করার জন্য কঠোর ভাবে পালন করতে হয় এই রীতি নীতি।

কঠোর হলেও প্রতিবছর সূর্যদেবকে সন্তুষ্ট করার জন্য ছটের ডালা সাজানো ভক্তরা। মূলত উৎসবের দিন সকালবেলা স্নান করে পরিষ্কার কাপড় জামা পড়ে রান্না করেন বাড়ির মহিলারা। এই দিন দুপুর বেলা তারা লাল ভাত খান। অর্থাৎ শুধুমাত্র ভাতের সঙ্গে লাউয়ের তরকারি খাবেন তারা। তবে কোন রান্নায় নুন ব্যবহার করা চলবে না।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন আরো গুরুত্বপূর্ণ। যিনি ব্রত রাখেন তিনি সারা দিন উপবাস পালন করেন। ওই দিন সন্ধ্যাবেলা বাড়িতে সূর্য দেবতার পুজো করেন মহিলারা। উপাচার হিসেবে দেওয়া হয় ক্ষীর, রুটি এবং কলা। এরপর মূল উপকরণ থেকুটা বানানোর কাজ শুরু করেন বাড়ির মহিলারা।

উৎসবের দ্বিতীয় রাত থেকে ছটের ডালা সাজানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। এরপর বিকেলে কোন নদীর ধারে গিয়ে ডুবন্ত সূর্য কে দেখে পুজো করতে হয়। পুজো হয়ে যাবার পর সেই প্রদীপ জলাশয় তে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

এই পুজোর ডালা তে ফল ছাড়াও থাকে মূল উপকরণ ঠেকুয়া। উৎসবের শেষ সকালে সূর্য উদয় হওয়ার আগে বাড়ির মহিলারা আবার চলে যান জলাশয় তে। সেখানে অর্ঘ্য দিয়ে তবে এই পুজো শেষ করতে হয়। পুজো শেষ হবার পর সেই সন্ধ্যে থেকে প্রায় ৪০ ঘণ্টা শুধু মাত্র থেকুয়া, আদা, জল, গুড় খেয়ে উপবাস ভাঙ্গেন মহিলারা।