হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের শাঁখা ও সিঁদুর পড়ার রীতি রয়েছে। কথিত আছে স্বামীর মঙ্গলের জন্য বিয়ের পর মেয়েদের শাঁখা সিঁদুর পড়াটা বাধ্যতামূলক। যদিও বর্তমানে সেই সব রীতি নীতি উঠেই গেছে বলা যায়। গুটিকয়েক বাড়িতে এই রীতি চলিত। শহরাঞ্চলে না থাকলেও গ্রামাঞ্চলেও এখনও রয়েছে।
ব্রহ্মবৈবরত পুরানের মতে শাঁখার ব্যবহার শুরু হয় প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে। শঙ্খাশূরের অত্যাচারের দেবভূমি তখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তখন নারায়ন দেবতাদের শঙ্খাশূর বধের পরামর্শ দিয়েছিলে। কিন্তু স্বামীর প্রাণ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তুলসী। তাই তাঁর কাতর প্রার্থনায় খুশি হয়ে নারায়ন শঙ্খাশূরের হাড় দিয়ে শাঁখা তৈরির পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই থেকেই নাকি হিন্দু বিবাহিত নারীদের শাঁখা পড়তে হয়।
আর সিঁদুর পড়ারও একটি আলাদা কাহিনী আছে তবে তা কিছুটা ঐশ্বরিক যুক্তি ও কিছুটা বৈজ্ঞানিক। তর্জনী দিয়ে মহিলারা সিঁথিতে সিঁদুর পড়ে থাকেন। এই তর্জনী দিয়ে সিঁদুর পড়লে মানসিক শান্তি বাড়ে এবং মধ্যমা দিয়ে সিঁদুর পড়লে নাকি আয়ু বাড়ে। তবে শাস্ত্রমতে সিঁদুরের লাল রং শক্তির প্রতীক। নারীদের কপালের লাল নিঁদুর ব্রহ্মাকে সন্তুষ্ট করতে পারে। তাই নারীদের শক্তির প্রতীক হিসেবে বিবাহিত মহিলাদের সিঁদুর পড়তে হয়।