বিংশ শতকে দাঁড়িয়ে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে মা হওয়া হলো সৌভাগ্যের বিষয়। কিন্তু সবথেকে সৌভাগ্যবান তারাই হয় যাদের একসাথে দুটি ছেলে বা দুটি মেয়ে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে হয়। অর্থাৎ যমজ সন্তানের মায়েদের আনন্দ অন্যদের তুলনায় একটু বেশি হয় বৈকি। চিরকালই আমাদের এই যমজ শিশুদের নিয়ে একটি কৌতুহল থেকেই থাকে। কিভাবে একজন মা দুই সন্তানকে একসাথে বড় করে তোলেন, তা নিয়ে সর্বদাই আগ্রহী থাকি আমরা। সব থেকে মজার ব্যাপার হল যে বর্তমানে এই যমজ শিশু সন্তান প্রসবের ঘটনা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে।
৯৮০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সদ্য ভূমিষ্ঠ প্রতি ৫৩ টি শিশুর মধ্যে একজনমাত্র যমজ হত। সেখানে ঊনবিংশ সালের পরিসংখ্যানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি তিনজনে একজন। গবেষণায় উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। গবেষণা করে বলা হচ্ছে যে, যে সমস্ত নারীর উচ্চতা বেশি তাদের ক্ষেত্রে যমজ সন্তান হবার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় বেশি থাকে। এছাড়াও বলা হয়েছে, মায়ের উচ্চতার সঙ্গে যমজ সন্তানের জন্মদান এর সম্পর্ক রয়েছে কারণ আমাদের শরীর বেড়ে ওঠার মধ্যে বিশেষ কিছু কিছু বিষয় কাজ করে। আমাদের শরীরে থাকে ইনসুলিন নামে একটি বিশেষ প্রোটিন।
ইনসুলিন বোন সেল বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রিত করে। একইসঙ্গে মেয়েদের লম্বা হবার প্রবণতা এবং যমজ সন্তান জন্মানোর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিন। ঠিক সেই কারণে লম্বা মেয়েদের যমজ সন্তান হবার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কিন্তু এমনটা আবার মনে করা উচিত নয় যে, যে মহিলারা লম্বা নয় তাদের কখনোই যমজ সন্তান হতে পারে না। লম্বা হওয়া সেই মহিলার যমজ সন্তান ধারণের প্রবণতা বাড়িয়ে দেয় মাত্র।