বাস্তুশাস্ত্র মতে বাড়ির উঠোনে তুলসী গাছ থাকা অত্যন্ত কার্যকরী। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে তুলসী। আর কমবেশি প্রতিটি হিন্দু বাড়িতেই প্রবেশ দ্বারের সামনে তুলসী গাছ রোপণ করলে সংসারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। যুগ যুগ ধরে প্রতিদিন সকালে স্নান সেরে তুলসী গাছে জল দেন ঘরণীরা, আর সন্ধ্যায় ধূপ-প্রদীপ দেওয়া হয় তুলসী তলায়। কিন্তু জানেন কি সেই তুলসী গাছের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে আর্থিক সচ্ছলতার। হিন্দু শাস্ত্রে তুলসী গাছকে শুভ বলে মনে করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রে তুলসী গাছকে লক্ষী নারায়নের স্বরূপ হিসেবে ধরা হয়।
এই প্রসঙ্গে বলতে গেলে তুলসী যদি শুকিয়ে যায়, তাহলে তা বাড়ির জন্য অত্যন্ত অশুভ। বাস্তুশাস্ত্রমতে, তুলসী ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি বজায় রাখে।
বাস্তুশাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, বাড়ির উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে তুলসী গাছ লাগানোর জন্য উপযুক্ত। কারণ এই দিকে তুলসি রোপণ করলে পরিবারে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব পড়ে এবং ঘরবাড়িতে সুখ সমৃদ্ধি বজায় থাকে। বাড়ির দক্ষিণ দিকে তুলসী গাছ লাগানো একেবারেই উচিত নয়, কারণ এই দিকটি শুভ নয়।
অন্যদিকে শুকিয়ে যাওয়া তুলসী গাছ ঘরে রাখতে নিষেধ করা হয় কারণ এটি পরিবারের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে নদীতে তুলসী ভাসানো হয়, এমনকি যে কোনো জলাশয়ে তুলসী উড়ানো যায়। তবে রবিবার তুলসী নিবেদনের জন্য আদর্শ দিন নয়। তুলসী শুকিয়ে গেলে ঘরে নতুন তুলসি গাছ লাগানো অবশ্যই প্রয়োজন।
বাড়িতে তুলসী গাছের চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। এই স্থানে কোনো প্রকার ময়লা, আবর্জনা জমিয়ে রাখা ঠিক নয়। কারণ তুলসীর সঠিক যত্ন নিলে তবেই পরিবারে ইতিবাচক শক্তির প্রভাব পড়ে।
তুলসী লাগানোর উপায়
এই পবিত্র গাছটিকে কখনোই মাটিতে রোপণ করা উচিত নয়। একটি পাত্রে তুলসী গাছ লাগাতে হয়। এর কারণে তুলসীর যথাযথ যত্ন নিতে হয়। তুলসীর পাত্রে স্বস্তিক, চক্র বা ওমের আকার তৈরি করাও শুভ।
ধর্মীয় শাস্ত্র মতে, রবিবার তুলসীকে জল দেওয়া ঠিক নয়। এছাড়া একাদশী, সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণেও তুলসী গাছে জল ঢালবেন না।