কোন কোন তেল শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়? দেখে নিন

16
কোন কোন তেল শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়? দেখে নিন

আজকাল যে হারে মানুষের মধ্যে রোগের প্রকোপ বাড়ছে ঘরে ঘরে সুগার, কোলেস্টরলের সমস্যা লেগেই রয়েছে। বিশেষ করে যারা একটু তেল মশলা বেশি খান তাদের কোলেস্টরলের সমস্যা বেশি হয়। আর একবার এই রোগ ধরলে বাটার, চিজ, ঘী, মটন সব কিছুই খাওয়ার থেকে বাদ পড়ে যায়। তবে চেষ্টা করেও তেল খাওয়ার থেকে বাদ দেওয়া যায় না আর সেই নিয়েই সমস্যা। এমন অনেক তেল রয়েছে যেগুলো খেলে কোলেস্টরলের সমস্যা বেড়ে যায়। আবার রোজ রোজ সিদ্ধ খাওয়াও তো যায় না। আর তাই কোন কোন তেল শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয় সে দিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত।

যেমন- ১. তিসির তেল :- এই তেল বিশেষ করে বাঙালিরা খুব একটা ব্যাবহার করেন না কিন্তু এই তেলের অনেক গুণ রয়েছে। অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা রোগীদের জন্য ভাল বিকল্প হতে পারে এই তেল। কারন আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিডের একটি ভাল উৎস এই তেল থেকে পাওয়া যায়। ক্যানসার প্রতিরোধ করতে এবং আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ কমাতেও পুষ্টিবিদরা এই তেল খেতে বলেন। তবে এই তেল গরম করলে নষ্ট হয়ে যায় এর খাদ্যগুণ। স্যালাড খেতে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁদের জন্য খুব ভাল একটি বিকল্প হতে পারে এই তেল।

২. সয়াবিন তেল: যাঁদের কোলেস্টেরল বেশি, তাঁরা সয়াবিন তেলেও রান্না করতে পারেন। মাছের মতোই সয়াবিন তেল ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাল উৎস। হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল। সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি দিন দেড় চামচ সয়াবিন তেল শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না, বরং তা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়া, সয়াবিন তেলে থাকা ফাইটোস্টেরল এলডিএল, কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।

৩. অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল একটু দামী হলেই এই তেল শরীরের জন্য সব সময়ই খুব উপকারী। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল নিষ্কাশনের সময় কোনও ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয় না। এতে ফেনল জাতীয় যৌগের সংখ্যা প্রায় তিরিশটি। এই সব যৌগ একই সঙ্গে প্রদাহনাশক এবং সংবহনতন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য এই তেল উপকারী। অন্যান্য তেলের তুলনায় এই তেলে মোনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। রোজের রান্না এই তেলে করা যেতেই পারে।