যে কোন শুভ অনুষ্ঠানে প্রদীপের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে যেকোনো শুভ কাজ শুরু করা হয়। এমনকি কোন পূজা অনুষ্ঠান প্রদীপ ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না বলেও মিথ প্রচলিত রয়েছে। তাই যেকোনো ধর্মীয় কাজে অবশ্যই প্রদীপ জালানো হয় কিন্তু এর জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম, যার ফলে জীবনে ঘটতে পারে উন্নতি। আর কখন কোথায় কিভাবে এই প্রদীপ জ্বালানো উচিত তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখা রয়েছে জ্যোতিষ শাস্ত্রে। আসুন জানবো আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সেই নিয়ম কানুন গুলি কী কী? তবে প্রথমেই বলে রাখা ভালো এগুলি সমস্তটাই বিশ্বাস ও ভক্তির উপরে নির্ভর করে। এর উপরে কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হয় না।
গৃহের অধিষ্ঠাত্রীদেবীদের প্রসন্ন করতে প্রথমেই প্রদীপ জ্বালানোর পরে আপনার আরাধ্যা দেবতার চরণে তিনবার আরতি করা প্রয়োজন। তারপরে দেবতার মুখ থেকে পা অব্দি দুবার আরতী করা আবশ্যিক।
সন্ধ্যার সময় তুলসী গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালানো যে কোন অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটায় বলেই মনে করা হয়।
প্রদীপ প্রজ্বলনে রোগের নিরাময় ঘটে। তবে সেক্ষেত্রে ঘিয়ের প্রদীপ চালানো আবশ্যক। তবে এছাড়াও বৃহস্পতিবার কলা গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালালে এবং অসুস্থ রুগ্ন ব্যক্তির কাপড় থেকে সুতো বের করে সেই সুতো দিয়ে ঘিয়ের প্রদীপ চালালেও রোগ থেকে নিরাময় ঘটে বলেই বিশ্বাস।
কথাতেই আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। আজকের এই প্রতিবেদন পড়ে যাদের মনে ভক্তি এবং বিশ্বাস জন্মাবে তাঁরা এই কাজগুলি করে দেখতে পারেন হয়তো উপকৃত হলেও হতে পারেন।