এখন সব কিছুতেই কম্পিটিশনের যুগ। আমরা যখন ছোট ছিলাম প্রায় পাঁচ বছর অব্দি বাড়িতেই লেখাপড়া করতাম। তবে এখন ছেলেমেয়েদের দু’বছর হতে না হতেই প্লে স্কুলে দেওয়াটা এখন ফ্যাশন হয়ে গেছে। এরপর তিন বছর হলেই বড় স্কুলে গতানুগতিক নিয়মের গণ্ডির মধ্যে বেঁধে দেওয়া হচ্ছে তাদের। সেখানে থাকছে বাঁধাধরা কিছু সাবজেক্ট, থাকছে ডেইলি হোমওয়ার্ক। এরপর কিছুদিন পরপরই পরীক্ষার হিড়িক। এতকিছু সামলাতে সামলাতে বাচ্চাদের স্কুলের এবং লেখাপড়ার প্রতি অনীহা চলে আসে।
এরপর যখন বাচ্চার পড়াশোনার প্রতি অনীহা চলে আসি তখন বাড়ির লোক তাকে নিয়ে শুরু করে মারামারি। আবার স্কুল বলতে শুরু করে যে রেজাল্ট একেবারেই ভাল হচ্ছেনা। এরপর মা বাবা বাচ্চা সহ সকলের হয়ে পড়ে হতাশ। বাচ্চার মধ্যে তৈরি হয় একটি মানসিক ভয়। বাবা-মায়ের মনে তৈরি হয় অস্থিরতা। কিছুদিন আগে একটি খবরে বলেছিল যে,”কিছুতেই ৬ বছরের আগে স্কুলে পাঠানো উচিত নয়।
সবার প্রথমে বাড়িতে এবিসিডি শেখানো উচিত, কারণ বাংলা থেকে ইংরেজি টা অনেক বেশি সহজ। লিখতেও বেশি কষ্ট হয় না। এরপর আস্তে আস্তে ১, ২, ৩ অ-আ-ক-খ শেখানো শুরু করতে হবে। পাঁচ বছর অব্দি এগুলি নিজের ঘরে রেখে শেখানো টাই বেশি উত্তম। এরপর তাকে নার্সারি জানিয়ে দেবেন তাহলে সেটি তালে তাল মিলাতে পারবে। এইভাবে ছোটদের আস্তে আস্তে বাড়িতেই গড়ে তোলা উচিত। ছোটদের কখনো করার জন্য অত্যাচার করা উচিত নয়।