নেপাল থেকে অযোধ্যায় আনা হল দুটি বিশাল শালগ্রাম শিলা

18
নেপাল থেকে অযোধ্যায় আনা হল দুটি বিশাল শালগ্রাম শিলা

অযোধ্যার রাম মন্দিরে তৈরি হবে শ্রী রামচন্দ্রের মূর্তি, তাই সুদূর প্রান্ত থেকে ৩৭৩ কিলোমিটার এবং ৭ দিনের যাত্রার পর দুটি বিশাল শালগ্রাম শিলা নেপাল থেকে অযোধ্যায় আনা হয়েছে। সারযূ নদীর সেতুতে ফুলের বর্ষণ ও ঢোল বাজিয়ে তাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এই দিন প্রায় ২ থেকে তিন হাজার লোক সেখানে এই উপলক্ষে জমায়েত হয়েছিল। দিনটা একটা অনুষ্ঠানের মত করেই পালন হয়েছে। ভক্তরা এতটাই ভিড় করেছিল যে পাথরগুলি রামসেবকাপুরমে পৌঁছতে এক ঘন্টা লাগে। , শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই, ডাঃ অনিল মিশ্র, মেয়র ঋষিকেশ উপাধ্যায় রামসেবকপুরমে শালগ্রাম শিলা স্থাপন করেন।

নিরাপত্তার জন্য বাইরে মোতায়েন ছিল পিএসি-পুলিশ। আজ সকাল ১০টায় পাথরের পুজো হয়। এবং এর পর রাম মন্দিরের মহন্তদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। এবং এর পর রামজন্মভূমি কমপ্লেক্সে পাথর রাখার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ১০০ জন মহন্তকে পুজোয় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই পাথর দিয়েই তৈরি হবে রাম মন্দিরের মূর্তি। শুধু মাত্র রামের মূর্তি নয় এই পাথর দিয়ে রাম, লক্ষণ, ও শত্রুঘ্নর মূর্তিও বানানো হবে বলে জানা যায়।

রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেছেন, “রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট ভগবান শ্রী রামের মন্দিরে কীভাবে প্রতিমা তৈরি তৈরি করা উচিত এবং কোন পাথরে এই মূর্তি তৈরি করা উচিত তা বিবেচনা করছে৷ ”  এ জন্য সারাদেশের ভাস্করদের তাদের মতামত শোনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভগবানের মূর্তির অঙ্গভঙ্গি কী হওয়া উচিত, তা গভীরভাবে ভাবা হচ্ছে।

তবে এটাও জানা গেছে এই মূর্তি বানানোর জন্য অনেক বিখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পীকে আনা হবে। এই মন্দিরের গর্ভগৃহেই রামের মূর্তি বানানো হবে। এর আগে যে রামের মূর্তি ওই মন্দিরে ছিল সেটা বেশ ছোটো তাতে সকল দর্শনার্থী সেই মূর্তি দেখতে পাচ্ছিলেন না আর তাই এর চেয়েও বড়ো মূর্তি বানানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই মূর্তি গড়ার কাজ ২০২৩ এই শেষ হয়ে যাবে বলেও মন্দির প্রশাসন থেকে জানিয়েছে।