এবার বাম জামানার চাকরি নিয়েও অনেকটাই চাপে সুজন চক্রবর্তী

12
এবার বাম জামানার চাকরি নিয়েও অনেকটাই চাপে সুজন চক্রবর্তী

একেই হয়ত বলে বাজারের মধ্যে হাড়ি ভাঙ্গা। এখন রাজ্যের যেকোনো প্রান্তে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে শোনা যাচ্ছে চাকরি দুর্নীতির খবর। আর সেই তালিকায় নাম উঠে আসছে বড় বড় নেতা মন্ত্রীর। রাজ্যের শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের নাম ইতিমধ্যেই জড়িয়ে গেছে এই দুর্নীতিতে। তাই শাসক দল কিন্তু এখন অনেকটাই চাপে। তবে এবার এখানেই থেমে থাকে নি নি নিয়োগ দুর্নীতির গাড়ি। কারণ শাসক দল ইতিমধ্যেই প্রশ্ন করা শুরু করেছে বাম জামানার চাকরি নিয়েও।

এবার এমন একটি তথ্য উঠে এসেছে বাম জমানা থেকে, সেটা নিয়ে অনেকটাই চাপে সুজন চক্রবর্তী। কারণ তার স্ত্রীর চাকরিও নাকি এক প্রকার সুপারিশেই হয়েছিল। এমনটাই অভিযোগ আনল বর্তমান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এমনকি সুপারিশ পত্রও সামনে আনা হয়। তবে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরি নিয়ম মেনেই হয়েছিল, আর তার নিয়োগপত্র সেটি। তবে এদিকে আবার সেই সময়ের সিপিএমের প্রাক্তন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সম্পাদক তথা পিডিএস নেতা সমীর পুততুণ্ড দাবি করেছে যে, তার সুপারিশেই নাকি মিলি চক্রবর্তীর চাকরি হয়েছে।

সমীর পুতুতুন্ডু একটি সাক্ষাৎকারে জানায়, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, কারন বাম আমলে এভাবে সুপারিশের মাধ্যমে হাজার হাজার চাকরিও হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৮৫ সালের ঘটনা, আমি তখন রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলাম। ৯৩ সালে সেক্রেটারী হয়েছি। সেই সময়েই সুজনের বিয়ের আগেই, আমাকে বারবার ইন্সিস্ট করা হয়েছিল। তাই গড়িয়ার দীনবন্ধু এন্ড্রেজ কলেজে কাজে সুবিধা ছিল করে দিলাম। তার কথা এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন আমি তো ২০০১ সালে সিপি এম ছেড়ে দিয়েছি। তারপরেই এইসব শুরু হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দল যখন সরকার চালায় তখন সব জায়গাতেই নিজেদের লোককে রিক্রুট করে। অনেক সময় টাকার বিনিময়ে হয়ে থাকে, আবার সেটা ছাড়াও হয়ে থাকে।।