গ্রামের মধ্যে রয়েছে ৫০০টির বেশি পুকুর, সেই পুকুর খনন হয়েছে কিন্তু গ্রামের মানুষ তা কিছুই জানেনা। এবার ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলা করলেন এক জন। অভিযোগকারী জানিয়েছে, গ্রামে এত পুকুর থাকা সম্ভব নয়। যদি পুকুরের সংখ্যা এত থাকে তাহলে গ্রামই উধাও হয়ে যাবে। আর কিছুই না পুকুর কাটানোর নামে সাধারণ মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এখানেই শেষ নয় এই ১০০ দিনের কাজের সাথে সাথে আরো কয়েকটি প্রকল্পের টাকা নয় ছয় করার অভিযোগ করা হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে এই সমস্ত বিষয়ের ওপর কড়া নজর দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে আদালতকে।
এরপরে মামলাকারীর অভিযোগ খতিয়ে দেখে বিষয়টিকে নিয়ে জেলাশাসককে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের গোয়াগাঁও-১ গ্রামে। সেই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের নামে অভিযোগ করেছে সেই গ্রামের আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির সাথে যুক্ত গ্রামের প্রধান পঞ্চায়েত। গ্রামের উন্নয়নের জন্য নাকি ১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল যেটা তারা আত্মসাৎ করেছে, গ্রামের কোনো উন্নয়নের কাজে লাগায়নি তারা সেই টাকা। এমনকি গ্রামের অনেক মানুষের জব কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলা হয়েছে।
গত চার বছরে নাকি ৫০০টি পুকুর খনন করা হয়েছে এই তথ্য দেখে অবাক আদালত। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত তথ্য সামনে উঠে এসেছে সেগুলোকে নিয়ে যথাযথ তদন্ত করা উচিত। এই অভিযোগগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বলা যেতে পারে এটি একটি যথার্থ জনস্বার্থ মামলা।