আজ গোটা বিশ্ব আমাদের হাতের মুঠোয় রয়েছে। পৃথিবীর দুর্গম অঞ্চলেও আমরা সহজে চলে যেতে পারি। কিন্তু আপনি কি জানেন আমাদের এই পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ রয়েছে বা জায়গা রয়েছে যার সন্ধান এখনো আমরা খুঁজে পাইনি। যে সমস্ত মানুষের এই অজানা জায়গা খুঁজে পাওয়ার নেশা রয়েছে তারাই একমাত্র চলে যেতে পারে কখনো মরুভূমিতে কখনো আবার পাহাড়ের চূড়ায়। তবে আজও এমন একটি পথ রয়েছে এই পৃথিবীতে যা শেষ করতে পারেননি পথচারীরা।
কোথায় রয়েছে পৃথিবীর সেই দীর্ঘতম পথ? দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে রাশিয়ার পূর্ব দিকের বন্দর শহর মেজ্ঞাদান পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে এই পথ। এটি পৃথিবীর দীর্ঘতম হাঁটার যোগ্য দূরত্ব বলে মনে করা হয় তবে এই পথ আজ অব্দি কেউ শেষ করতে পারেনি। কিন্তু যেখানে মানুষ দুর্গামতম রাস্তা পার করে ফেলল সেখানে কেন এই রাস্তা পার করতে পারল না?
আসলে ২২ হাজার ৩৬৭ কিলোমিটার দূরত্ব এই পথ হাঁটার যোগ্য হলেও ভীষণ দুর্গম। ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমা কেডিকার দূরত্ব সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার অর্থাৎ তার প্রায় ৭ গুন হল পৃথিবীর এই দীর্ঘতম রাস্তা। প্রতিদিন যদি গড়ে আট ঘন্টা হাঁটা যায় তাহলে এই পথ অতিক্রম করতে মানুষের সময় লাগবে ৫৮৭ দিন। কোন বিরতি নিয়ে না হাঁটলেই ১৮৭ দিন লাগবে এই যাত্রা অতিক্রম করতে। যা বাস্তবে একপ্রকার অসম্ভব।
এই রাস্তাটি সংযুক্ত করেছে তিনটি মহাদেশ কে। কোনরকম যানবাহন বা নৌকা স্টিমার ছাড়াই এই পথ ধরে আপনি উত্তর-পূর্ব রাশিয়া থেকে চলে যেতে পারে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকায়। মাঝে পড়বে মোট 17 টি দেশ এবং ছয়টি ঋতু। রাস্তাটি ঠিক কতখানি দীর্ঘ বোঝানোর জন্য উল্লেখ করতে পারি আপনাকে ১৩ বার মাউন্ট এবারে যদি ওঠানামা করেন ঠিক ততখানি। অনেকেই এই দুর্গম যাত্রা পথ অতিক্রম করার কথা চিন্তা-ভাবনা করলেও বিশেষজ্ঞরা সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। সম্প্রতি তুরস্ক এবং সিরিয়ার ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে এই রাস্তাটিতেও।