হবু দম্পতিকে সুখী রাখতে বিয়ের কার্ডে মেনে চলতে হবে বেশ কয়েকটি নিয়ম! জেনে নিন

11
হবু দম্পতিকে সুখী রাখতে বিয়ের কার্ডে মেনে চলতে হবে বেশ কয়েকটি নিয়ম! জেনে নিন

দীপাবলি এবং জগদ্ধাত্রী পুজা কাটতে না কাটতেই হাজির হয়ে যায় বিয়ের মরসুম। প্রত্যেক বাড়িতে এই অনুষ্ঠান সাধ্যমত উদযাপন করা হয়। তবে বিয়ের সানাই বাজার আগে কিছুটা সতর্ক হয়ে যেতে হবে আপনাকে। বিয়ের পর যাতে কোনভাবে নতুন দম্পতির সুখের জীবনে বাধা সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে আপনাকেই। তাই বাস্তু অনুযায়ী কিছু কিছু জিনিস এড়িয়ে গেলে চলবেনা।

বাস্তু বলতে বোঝায় সবকিছুকেই। আমাদের জীবনের সবকিছু ঘিরেই বাস্তুশাস্ত্র জড়িত রয়েছে। ভারত উপমহাদেশে প্রায় সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে এই বাস্তুশাস্ত্র কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫০০০ বছর ধরে বাস্তুবিদ্যা নিরন্তন সকলের মধ্যে বিরাজ করছে।বৈদিক যুগে বিজ্ঞান মূলত মন্দির নির্মাণে ব্যবহৃত করা হতো। প্রাচীন যুগের স্থাপত্য শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা শুধুমাত্র মন্দির অথবা বাড়ি তৈরি করতেন তা নয়, নির্মাণশৈলী এবং পরিকল্পনার বিষয়টি তদারকি করতে হতো তাদের।

তাই নতুন জীবনে প্রবেশ করার আগে বিয়ের অন্যতম বিষয়টি হলো বিয়ের কার্ড। এই বিয়ের কার্ড থেকেই হবু পাত্র-পাত্রী সম্পর্কে জানতে পারেন সকলে। হবু দম্পতিকে সুখী রাখার জন্য বিয়ের কার্ডে মেনে চলতে হবে বেশ কয়েকটি নিয়ম। বিয়ের কার্ডে পাত্র-পাত্রী ছবি না দেওয়াই মঙ্গল বলে মনে করেন বাস্তুশাস্ত্র। কোনভাবেই বিয়ের কার্ডের রং কালো অথবা ধূসর রঙের করা উচিত নয়। নানা ধরনের বিয়ের কার্ড অথবা ডিজাইনার কার্ডের ছবি আমরা দেখতে পাই কিন্তু বিয়ের কার্ড করা উচিত আয়তকার অথবা বর্গাকার।

বিয়ের কার্ডে অনেকেই ঠাকুরের ছবি ব্যবহৃত করতে চান কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবেই বিয়ের কার্ডে নৃত্য রত গণেশের ছবি যাতে ব্যবহার না করা হয়। বিয়ের কার্ডে শুভ শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ফুলের পাপড়ি অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। বিয়ের কার্ড লাল অথবা মেরুন হওয়া উচিত। বিয়ের কার্ডের উপরে অবশ্যই স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা মঙ্গলময় বলেই মনে করা হয়।