দাদা যখন বুকের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, তখন তিনি বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বারবার ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করে দাদার খোঁজ খবর নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ওখানে ফেলে রাখলে হবে না ওর আরো ভালো ট্রিটমেন্ট এর প্রয়োজন। দরকার পরলে ও কি দিল্লিতে নিয়ে এসে চিকিৎসা করা হবে, এমনকি এর জন্য এয়ার আম্বুলান্স পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ঐসব করতে হয়নি কারণ বুকে স্টেইন বসানোর পর এখন বাংলার রাজপুত্র সৌরভ গাঙ্গুলী সুস্থ আছেন, তবে এখন তিনি বাড়িতে বিশ্রাম করছেন। কিন্তু চলতি মাসের শেষের দিকে এই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাংলা শহরে আসতে চলেছেন দুই দিনের জন্য। এই সফরে তিনি সৌরভ গাঙ্গুলী কে দেখতে তার বাড়িতে যাবেন বলে জানা যাচ্ছে সূত্রের মাধ্যমে। তার কাছে এটা অবশ্য নতুন নয়, তিনি বাংলা সফরে এসে অনেকবার বিশিষ্ট মানুষের বাড়িতে গিয়েছেন, এবার তার সেই ডেস্টিনেশন বেহালাও হতে পারে বলে মনে করছে অনেকে।
এমনিতেই সামনে একুশে বিধানসভা নির্বাচন, আর এই সময়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে বেশ জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে। শেষবার যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলা সফরে এসেছিলেন তখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলা এখন আগামী বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে দুজনের নাম শোনা যাচ্ছে এক সৌরভ গাঙ্গুলী আরেকজন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন মাত্র দুজন কেন লিস্ট আরো লম্বা রয়েছে।
এর পরেই আমরা শুভেন্দু অধিকারী কে বিজেপিতে যোগদান করতে দেখেছি, সৌরভ গঙ্গুলি রাজনৈতিক মঞ্চে যোগদান না করলেও। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে অরুণ জেটলির মূর্তি উন্মোচন করতে দেখা যায় দুজনকে। অনেক ক্ষেত্রেই জল্পনা শোনা যায় বিসিসিআইয়ের সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও অমিত শাহের রয়েছে বিরাট হাত। যেখানে ব্রিজেশ পাটেল বিসিসিআইয়ের সভাপতি হওয়ার কথা ছিল, সেখানেই এক রাতের মধ্যে পাল্টে যায় সমস্ত ছক। এই নিয়ে জল্পনা শোনা যায়, অসমের একমন্ত্রীকে ফোন করে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের সমস্ত ক্রিকেট এসোসিয়েশনের ভোট গুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় শাহ। তবে এর কিছু প্রকাশ্যে না আসলেও সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় কিছুটা। বর্তমানে বাংলা রাজ্য বিজেপিতে সৌরভ গাঙ্গুলীর নাম নিয়ে বিশেষ জল্পনা, কিন্তু এই নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী কে প্রশ্ন করা হলে তার নিরাপত্তা আরও বেশি উসকে দিয়েছে ব্যাপারটিকে।