রাজ্য সরকারী কর্মীরাই এবার তার দলকে চাপে ফেললেন ডি এ ইস্যু নিয়ে। কারণ তৃণমূলের এক সরকারি কর্মচারী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মনোজ চক্রবর্তী দাবি করেছেন ডি এ নিয়ে পেশ করা হোক শ্বেত পত্র। বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে, তার জন্য সরকারের বসা উচিৎ সরকারী কর্মচারীদের নিয়ে। আর বর্তমান সরকারের আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে কতটা ডিএ দিতে পারবে তার জন্য একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক সরকার। ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী সরকারি কর্মচারীদের একাংশ কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছে। কিন্তু অনেক কর্মচারী কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনে সামিল হয়েছে। অনেকে সরকারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিকে এক প্রকার অগ্রাহ্য করে অফিসে পা রাখে নি। সরকারী কর্মচারীরা এর আগেও অনেকবার হুশিয়ারী দিয়েছে সরকারকে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট যদি তাদের বকেয়া ডিএ মেটানো না হয় তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যোগ দেবেন না সরকারী কর্মীরা। এই সমস্ত চাপ তো ছিলই সরকারের ওপরে। তার সাথে তৃণমূল নেতার কথায় আরও অস্বস্তি বৃদ্ধি হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে মনোজ স্পষ্ট জানায় আমার কথায় দল ক্ষুব্ধ হলে হবে, কিন্তু আমি চাই এই সমস্যা মিটে যাক। সবারই একটা ব্যাক্তিগত মত থাকতেই পারে। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে আরও বলেন রাজ্য সরকারের উচিৎ সরকারী কর্মচারীদের সাথে বসে বিষয়টার সমাধান করা। কতটা ডি এ সরকার দিতে পারবে সেটাও জানতে পারবে। কিন্তু সেই আলোচনা করতে চাইছে না সরকার। ডিএ কর্মচারীদের হকের জিনিস। কিন্তু এই আন্দোলনকে সায় দেয় না মনোজ। তিনি বলেন এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। আগামী ১৫ ই মার্চ এই শুনানি। এই শুনানির জন্য সকলের অপেক্ষা করা উচিৎ।।