পাত্র পাত্রীর সন্ধান চাই! চিন্তা কিসের? এরজন্য রয়েছে সহজ মাধ্যম। রয়েছে নানান রকমের ওয়েবসাইট,যার মাধ্যমে দেশ থেকে বিদেশ সমস্ত জায়গার পাত্র-পাত্রীদেরই দেখা যায় নিমেষের মধ্যে। তবে একদিকে যেমন এটি ভালো তেমনি অন্যদিকেও অনেককেই হতে হয় প্রতারণার শিকার। এই রকমই একটি প্রতারণার বাস্তব রূপে তুলে ধরব এই প্রতিবেদনে।
সবথেকে দামি কথা, সেটি হল প্রত্যেকটি জিনিসের ভাল এবং মন্দ দুটো দিকই আছে। আমাদের সময়ের অভাবের জন্য আমরা যে ঘটনাগুলি খুব সহজেই ঘটিয়ে ফেলতে পারি সেই ঘটনাগুলো কিন্তু একসময় ভবিষ্যতে আমাদের কাছে এক বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিয়ের জন্য পাত্রী চাই। সেই জন্যেই ওয়েবসাইটে নিজেকে এমবিএ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন সেই পাত্র। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনেক পাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করেছেন, আলাপ করে সেই সমস্ত পাএীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন। গোটা দেশ জুড়ে প্রায় ১০০ জন মহিলাকে এই ভাবে প্রতারণা করেছেন ওই যুবক।
ওই যুবক হলেন ওড়িশার বাসিন্দা নাম ফারহান খান। ষসম্প্রতি বিষয়টি উঠে এসেছে এইমস এর এক চিকিৎসককে কেন্দ্র করে, কারণ তিনিও ফারহানের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ একেবারে হতবাক। ১৮ দিন ধরে চলে ওই যুবকের ওপর নজরদারি, অবশেষে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, ফরহান প্রতারণার জন্য জাল পাতিয়েছিল জন্য বিয়ের বিজ্ঞাপনের ওয়েবসাইটে। পাত্রী খুঁজছেন এবং নিজেকে তিনি এনবিএ বলে পরিচয় দিতেন, বাস্তবে সে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন।
এই প্রতারণা ওই যুবক ছয় মাস ধরে চালাচ্ছিলেন। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করার পর ওই যুবককে। ফারহানের কাছ থেকে পাওয়া গেছে প্রচুর এটিএম কার্ড, সিম কার্ড এবং একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি।
সবথেকে শেষে শিকার ছিলেন দিল্লির এইমস এর চিকিৎসক। ওই চিকিৎসককে ফাঁসিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছেন ওই যুবক। এই প্রতারণার জাল ছিল গোটা ভারতবর্ষের আনাচে-কানাচে।