গত বুধবার নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে রাজ্য রাজনীতি রীতিমতো উত্তাল। এই প্রসঙ্গে শাসক শিবিরের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লোকাল পুলিশের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল কমিশন। লোকাল পুলিশ সম্প্রতি কমিশনের কাছে ওইদিনের রিপোর্ট তুলে ধরেছে।
উক্ত রিপোর্টে নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার দিন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রসঙ্গে পুলিশের তরফে খামতি থেকে গিয়েছিলো। তবে এর কারণ হিসেবে অবশ্য ঐদিন বারবার মুখ্যমন্ত্রীর কার্যসূচীতে পরিবর্তন আনার বিষয়টিকেই দায়ী করা হয়েছে। যে কারণে ঐদিন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।
উক্ত রিপোর্টে এও জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেই দিন তার স্পেশ্যাল সিকিওরিটি ইউনিটের গাড়িটিও ছিল। এছাড়াও মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিআইজিও সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামনেই ছিলেন নন্দীগ্রাম থানার ওসি। তবে মুখ্যমন্ত্রী বারংবার সূচিতে পরিবর্তন আনায় পুলিশ সুপারের গাড়িটি ওই দিন পিছিয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত বুধবারের ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, লোকাল পুলিশরা ঐদিন তার আশেপাশে উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি পুলিশ সুপারের দেখাও মেলেনি। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফ থেকে যে রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছিল সেই রিপোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কিংবা হামলার কোনো উল্লেখ ছিল না। নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো রিপোর্টেও এই বিষয়ের কোনো উল্লেখ নেই।