নতুন সংসদ ভবনে স্থান পেতে চলেছে সোনার রাজদণ্ড

12
নতুন সংসদ ভবনে স্থান পেতে চলেছে সোনার রাজদণ্ড

সোনার রাজদণ্ড এবার স্থান পেতে চলেছে নতুন সংসদ ভবনে। আগামী রবিবারই সেই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সেখানে সেই রাজদন্ড যা এক ঐতিহ্যমন্ডিত রাজদণ্ডও বলা যায় যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ভারতের স্বাধীনতা ইতিহাসের অনেক অজানা কাহিনী এবার সেই রাজদণ্ডই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে স্থান পেতে চলেছে নতুন সংসদ ভবনে। এই রাজদণ্ডের নাম সেঙ্গল। সেঙ্গল কথাটি উৎপত্তি তামিল শব্দ সেম্মাই থেকে যার অর্থ ন্যায় অর্থাৎ এই রাজদণ্ড ন্যায়ের দন্ড। কিন্তু সকলের মনে একটাই প্রশ্ন এই রাজদণ্ডের সাথে ভারতে স্বাধীনতার সাথে কি যোগাযোগ আছে চলুন দেখে নেয়া যাক।

ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে প্রশ্ন করেছিলেন ভারত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের থেকে স্বাধীনতা অর্জন করলে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক কি হবে? তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নেহেরু দেশের শেষ গভর্নর জেনারেল সি রাজাগোপালাচারীর পরামর্শ নেন। তিনি তাঁকে জানান তামিলনাড়ুর রাজ পরিবারের ইতিহাস সম্পর্কে যেখানে রাজ্যাভিষেকের সময় নতুন রাজার হাতে রাজদণ্ড তুলে দেওয়ার প্রচলন আছে। মূলত সেই প্রথা অবলম্বন করেই রাজাগোপালাচারি নেহেরুকে ব্রিটিশদের হাত থেকে রাজদণ্ড নেওয়ারই পরামর্শ দেন।

প্রথমে এই রাজদণ্ড তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তামিলনাড়ুর মঠ তিরুভাদুথুরাইকে,পরে তাঁরা সেই দায়িত্ব তুলে দেন মাদ্রাজের একজন জহরী ভুমিদি বঙ্গারু চেট্টার হাতে। তাঁরাই মূলত এই সোনার রাজদন্ড তৈরি করেছেন।১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট মধ্যরাতের ১৫ মিনিট আগেই প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর হাতে সিঙ্গেল তুলে দেওয়া হয়। এবার সেই ঐতিহ্যমন্ডিত রাজদণ্ড স্থান পেতে চলেছে নতুন সংসদে কিন্তু এতদিন সেই সিঙ্গেল ছিল ইলাহাবাদের একটি জাদুঘরে। এই ইতিহাস বিজড়িত রাজদণ্ড দেখার পরম সৌভাগ্য হতে চলেছে আমাদের সকলের।