“যেখানে চাঁদ মামা গান শোনায়, রাত নামে দু চোখে ঘুম জড়ায়”, জনপ্রিয় এই বাংলা গানটির সঙ্গে সম্প্রতি বাস্তব জীবনের বেশ মিল খুঁজে পেয়েছেন একদল বিদেশি গবেষক। এই গবেষকেরা কার্যত ঘুম নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের বায়োলজি বিভাগের গবেষকরা দাবি করেছেন পূর্ণিমার চাঁদ সরাসরি মানুষের ঘুমকে প্রভাবিত করে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় তারা এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের অধ্যাপক হোরাসিও দি লা লগলেসিয়া জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার টোবা জাতির মানুষের উপরে তারা এই সমীক্ষা চালিয়ে ছিলেন। আসলে এদের জীবন যাত্রার ধরণ আধুনিক সভ্য সমাজের তুলনায় অনেকখানিই আলাদা। প্রধানত তিন ধরনের পরিবারের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। প্রথম, যাদের বাড়িতে বিদ্যুত সংযোগ নেই, দ্বিতীয় যাদের বাড়িতে মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ আসে এবং তৃতীয়, যাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে একটি বিশেষ যন্ত্র প্রদান করা হয়েছিল। সমীক্ষার শেষে দেখা যায় পূর্ণিমার দিনে সকলেই দেরি করে ঘুমোতে যাচ্ছেন এবং কম ঘুমোচ্ছেন! এরপর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬৫জন পড়ুয়ার উপরেও একই পরীক্ষা চালানো হয়। আশ্চর্যজনক ভাবে দেখা যায়, গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে শহরের ওই পড়ুয়াদের ঘুমের ধরণের অদ্ভূত মিল রয়েছে।
সমীক্ষার রিপোর্ট দাবি করছে, অত্যাধুনিক শহর হোক কিংবা প্রত্যন্ত গ্রাম, পূর্ণিমায় মানুষ দেরি করে ঘুমোতে যাচ্ছেন এবং কম ঘুমোচ্ছেন। অপরপক্ষে, পূর্ণিমার আগের দিন প্রায় ৩০ মিনিট দেরি করে ঘুমোতে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে অনেকের। এদের মধ্যে আবার অনেকেই অন্যান্য রাতের তুলনায় প্রায় ৫০ মিনিট কম ঘুমোচ্ছেন পূর্ণিমার রাতে।