ভারত অনেক দিন থেকেই এই খবরের আশায় দিন গুনছিল। আর সেই খবর এখন বহু প্রতীক্ষার পরে। আসলে এবার সামনে এলো প্রথম কোভ্যাক্সিনের মানব ট্রায়ালের রিপোর্ট। যা অনেকটাই আশাব্যঞ্জক বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। তারা জানাচ্ছে মোট ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবক দের শরীরের মধ্যে এই ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হয়েছিল, আর তার ফলেই সেই রিপোর্ট আসতেই বিজ্ঞানীদের মুখে হাসি ফুটেছে ।
আসলে এই মানব ট্রায়ালের প্রথম পর্যায় ছিল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের তত্ত্বাবধানে। সেখান থেকেই ই ভেঙ্কট রাও জানায়, আসলে এই কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করার ফলে স্বেচ্ছাসেবক দের শরীরের কোনো রকম নেতি বাচক প্রভাব পরে নি। তাদের পরীক্ষা করে দেখা গেছে আসলে তারা এখন সুস্থ আছে, সাথে তাদের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরী হয়েছে। যা দেখে প্রথম ট্রায়াল সুফল বলেই মনে করছে বিজ্ঞানীরা। এখানেই শেষ না, তিনি আরও বলেছেন, এই স্বেচ্ছাসেবক দের আসলে ১৪ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এদিকে সব ঠিক থাকলে যে আগামী ২৮,৪২,১০৪,১৯৪ দিন পরে স্বেচ্ছাসেবক দের দেহের নমুনা পরীক্ষা করা হবে । আসলে এত দিনের ব্যবধান কারণ একটাই যাতে ভ্যাক্সিনের প্রভাব সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়।
ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ট্রায়াল শুরু হয়ে গেছে, আর সেই কারণেই ৫৫ জন স্বেচ্ছাসেবক দের দেহে ট্রায়াল করা হয়েছে। এই দ্বিতীয় ট্রায়াল নাগপুর ডঃ গিল্লুরকর হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে হচ্ছে। আর সেখানেই আগামীতে মোট ১১০০ জনের ওপরে প্রয়োগ করা হবে এই কোভ্যাক্সিন। তবে এই কারণেই আই সি এম আর দেশের মোট ১২ টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে। দিল্লি পাটনা এইমস রয়েছে।