কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ খাবারকেই কার্বস বলা হয়। যারা ডায়েট কন্ট্রোল করেন তারা কখনোই কার্বসগুলিকে তাদের ডায়েট চার্টে স্থান দিতে চান না। আবার যারা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করেন তারাতো এই ধরনের খাবার খেতে চান না। কিন্তু কিছু কিছু কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ক্ষেত্রে পুরুষদের ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খুবই কাজে আসে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলেছেন পুরুষদের ওজন কমানোর জন্য ডায়েট চার্টে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার রাখা উচিত।
অ্যাপেল– অ্যাপেলের থাকা প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইডেট ওজন কমানোর কাজে সহায়তা করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ব়্যাডিকাল ড্যামেজের হাত থেকে আমাদের(কলা, কোষের ক্ষয়ক্ষতি) বাঁচায়। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উপকারী পদার্থ এটি।
অ্যাকর্ন স্কোয়াশ– অ্যাকর্ন স্কোয়াশ হল ওক গাছের ফল। এই ফলটি অনেকের কাছেই ওকনাট নামেও পরিচিত। এই ফলে কার্বোহাইড্রেটের সাথে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন C ও A থাকে। চোখ, হৃদযন্ত্র ও মেটাবলিজম কে ঠিক রাখার জন্য এই ওকনাট সেবন করা উচিত।
কালো সিম– কালো সিমের মধ্যে রয়েছে একাধিক পুষ্টিকর উপাদান। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থেকে ভিটামিন B6 ও ফোলেট স্বপ্নে রয়েছে কালো সিমের মধ্যে। এই পদার্থটি শরীরকে ব্যাট কোলেস্টেরলের হাত থেকে রক্ষা করে, এছাড়াও রক্তজালক, রক্তবাহিকাকে ড্যামেজ হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই অবশ্যই কালো সিমকে আপনার ডায়েট চার্টে রাখুন।
ব্রাউন রাইস বা ঢেঁকি ছাঁটা চাল– সাদা ভাতের থেকে এই ঢেঁকি ছাটা চাল খুবই উপকারী। চালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে। তিলের কোনও তরকারি, নানা ধরনের স্যস বা পিঁয়াজ দিয়ে এই ভাত খেলে বেশি উপকার পাওয়া।
কিডনি বিনস– ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে কাজে আসে কিডনি বিনস। এছাড়া ওই পদার্থের মধ্যে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই যারা ওজন কমাতে ইচ্ছুক তারা সালাদের সাথে কিডনি বিনসকে মিশিয়ে খান।
পরিশেষে বলতে পারি উপরের ফলগুলো ছাড়াও এমন কিছু ফল আছে যেগুলোর মধ্যে প্রোটিন ও ফাইবার থাকে তাই সেই ফলগুলোকেও আমাদের ডায়েট চাট একা যেতে পারে। সেই ফলগুলো হল আম, চকোলেট মিল্ক, পিয়ারস, আনারস, আঙুর, মিষ্টি আলু, হোয়াইট ব্রেড, তরমুজ।