সানগ্লাস নাকি কেড়ে নিচ্ছে চোখের দৃষ্টিশক্তি! জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত

52
সানগ্লাস নাকি কেড়ে নিচ্ছে চোখের দৃষ্টিশক্তি! জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত

শুধুমাত্র ফ্যাশনের জন্যই নয়, চোখকে পোকামাকড়, ধূলোবালি এবং সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করতে সানগ্লাসের জুরি মেলা ভার।

সূর্যের মারাত্মক ইউ ভি রশ্মি থেকে চোখের কর্নিয়া ও রেটিনাকে বাঁচাতেও সানগ্লাসের ভূমিকা অপরিসীম। সকল বয়সী মানুষই আজকাল চোখ ভালো রাখতে সানগ্লাস ব্যবহার করেন। মোটরবাইক-সাইকেল চালানোর সময়ও সানগ্লাস উড়ন্ত পোকামাকড় থেকে চোখকে রক্ষা করে।

কিন্তু সাময়িক আরাম বা ফ্যাশন করতে গিয়ে সস্তার সানগ্লাস ব্যবহার করে নিজের চোখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন অনেকেই। চোখকে ভালো রাখতে গিয়ে সস্তার সানগ্লাস ব্যবহার করে উল্টে চোখের ক্ষতি করছেন এর ব্যবহারকারীরা।

কারণ, সস্তার সানগ্লাসে নিম্ন মানের ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয়। আর নিম্ন মানের রঙিন প্লাস্টিকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি আটকানোর কোনও ক্ষমতা নেই। উল্টে চোখের জন্য তা মারাত্মক ক্ষতিকর।

চক্ষু চিকিৎসকরা বলছেন এতে চোখের সাংঘাতিক ক্ষতি হচ্ছে। কম দামি বা সস্তার সানগ্লাস অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে অকালেই চোখে ছানি পড়ে যেতে পারে।

হঠাৎ করে চোখের কর্নিয়া শুকিয়ে যেতে পারে।বিখ্যাত অপথালমোলজিস্ট রুদ্র প্রসাদ ঘোষ জানিয়েছেন কম দামি বা সস্তার সানগ্লাস অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে অকালেই চোখে ছানি পড়ে যেতে পারে। চোখের কর্নিয়াও শুকিয়ে যেতে পারে অস্বাভাবিকভাবে।

সস্তার সানগ্লাস ব্যবহারে চোখের পাওয়ার বেড়ে যায় যার ফলে ঘনঘন মাথাব্যথা হবার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়া, সস্তার রঙিন চশমা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ‘রিফ্রাক্টিভ এরর’ বা চোখের প্রতিসারক ত্রুটি বহুগুণ বেড়ে যায়।।

‘রিফ্রাক্টিভ এরর’ বা চোখের প্রতিসারক ত্রুটির ফলে দৃষ্টি শক্তি ঝাপসাও হয়ে যেতে পারে যার দরুন খুব দূরের বা খুব কাছের জিনিস দেখতে সমস্যা হতে পারে। এছাড়া আইলিড ক্যান্সারের লক্ষণও অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত পরিমাণে এসব কমদামী সানগ্লাস ব্যবহার করলে।