কালসর্প দোষে ভুগছেন? মুক্তি পেতে মহা শিবরাত্রিতে করুন এই কাজ

17
কালসর্প দোষে ভুগছেন? মুক্তি পেতে মহা শিবরাত্রিতে করুন এই কাজ

কুষ্ঠীর অত্যন্ত অশুভ দশা হলো কালসর্প দোষ। এই দোষের প্রভাবে যে কোন জাতকের জীবন হয়ে যেতে পারে সম্পূর্ণভাবে ছারখার। এই দোষেল সব প্রভাবে হতে পারে পরিশ্রম করেও সাফল্য না পাওয়ার মতো সমস্যা। নানান ভাবে আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা এবং মনের মধ্যে নানা রকম ওই নেগেটিভ চিন্তাভাবনা আসতে পারে এই কালসর্প দোষের প্রভাবে।

সেই কারণেই এই কালসর্প দোষকে সকলেই ভয় পান আমি ১৮ ই ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রি দেবের আরাধনার জন্য এই দিনটি অত্যন্ত শুভ বলেই মনে করা হয়। মহাদেবের গলায় সাপ থাকে সেই কারণেই নাককুলের সঙ্গে তার যে বিশেষ যোগ রয়েছে সেটাই বর্ণিত রয়েছে পুরানে।

এই মহা শিবরাত্রিতে কয়েকটি উপায় যদি করা যায় তাহলে কাল সর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারোর জন্মছকে যদি কালসর্প দোষ থাকে তবে তার শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা রকম বাধা আসে। এমন কি তার জীবনে নানা রকম মানসিক চাপ এবং কষ্টের সময় আসে। এছাড়া জন্মছকে যদি কালসর্প দোষ থাকে তাহলে জাতকের ক্যারিয়ারে নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চাকরি পেতে সমস্যা হতে পারে, চাকরি পেলেও সেই চাকরি চলে যায়। ব্যবসাতে ও নানারকম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে সেই ব্যক্তিকে। কাল সর্প দোষের প্রভাবে মনে সব সময় খারাপ চিন্তা আসতে থাকে, এমনকি যাতে কোন কিছু করার জন্য চেষ্টা করে থাকলেও তাকে পরাজয়ের ভয়ে কুরে কুরে খায়।

কোন ব্যক্তির জন্ম ছকে যদি এই দোষ থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রেও নানা সমস্যায় পড়তে হয়ে ।

এই দোষ থেকে যদি মুক্তি পেতে হয় তাহলে মহা শিবরাত্রি দিন উজ্জয়িনীতে অবস্থিত মহাকালেশ্বর অথবা নাসিকে ত্রিম্বাকেশ্বর প্রয়াগরাজে তক্ষালেশ্বর মন্দিরে শিবলিঙ্গের রুদ্রাভিষেক করুন।

এই দোষ কাটাতে মহা শিবরাত্রির দিন শিব লিঙ্গে এক জোড়া রুপোর কোবরা নিবেদন করুন।

এই কালসর্প দোষ কাটাতে মহা শিবরাত্রির দিনে বেলায় অন্তত দুবার মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করুন।

মহা শিবরাত্রি তে জব করতে হবে,” ওম না কুলায় বিদমাহে বিষদন্তায় ধিমাহি তন্নো সর্প প্রচোদয়ৎ। ”

এবং অবশ্যই এই দিন উপবাস রেখে মহাদেবের পুজো করুন।