মানব জন্ম নিলে তাকে ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেই হবে। এমন খুব কম মানুষ আছেন যারা পুরোপুরিভাবে ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না। তবে চলতি বছরে যা যা আমরা দেখেছি, তাতে ঈশ্বরকে বিশ্বাস না করে হয়তো আর কোন উপায় নেই। এমন একজন শক্তি, যাকে আমরা কখনো দেখিনি, কিন্তু না দেখেও তাকে পুরোপুরি ভাবে অর্পণ করে দিতে পারি আমরা। তাহলে যে ঈশ্বর রুপি মানুষকে আমরা চোখে দেখেছি, তাকে যে একেবারেই অবিশ্বাস করা যায় না, তা বলাই বাহুল্য। এইরকম ঈশ্বর রুপি মানুষ আমাদের কাছে পরিচিত বামাক্ষ্যাপা, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, বাবা লোকনাথ, সারদা মা রূপে।
তবে আজ আমরা কথা বলবো বাবা লোকনাথের বিষয়ে। দেবাদিদেব মহাদেবের মানুষরূপী দেবতা কে আজও মেনে চলেন অনেকে। লোকনাথের জন্মদিন জন্মাষ্টমীতে ১৭৩০ সালের ৩১ সে আগস্ট। কলকাতা থেকে অনতিদূরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কচুয়া গ্রামে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাবা লোকনাথ। তার পিতার নাম ছিল রামনারায়ন ঘোষাল, মাথা কমলাদেবী। লোকনাথ ছিলেন তার বাবার চতুর্থ পুত্র। তবে বাবা লোকনাথের জন্মস্থান নিয়ে বহু বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
অনেকে মনে করেন তার জন্মস্থান কচুয়া নয়, তার আদি জন্মস্থান বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার চাকলা। এই প্রসঙ্গে নিত্য গোপাল সাহা হাইকোর্টে মামলা করেন এবং সেই অনুযায়ী বাবা লোকনাথের জন্মস্থান চিহ্নিত করা হয় কচুয়া তে। তবে যেহেতু অনেকেই মনে করেন যে বাবা লোকনাথের জন্মস্থান চাকলা, তাই সেই অঞ্চলটি চাকলা ধাম নামে লোকনাথ ভক্তদের কাছে পরিচিত।
বাবা লোকনাথের একটি বাণী আমাদের কাছে খুবই পরিচিত। এই বাণী সর্বদা আমাদের মনে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় কোন না কোনভাবে। এই বাণীটি হলো, ‘রণে বনে জলে জঙ্গলে, যখনই বিপদে পড়িবে, আমাকে মনে করিবে, তাহলেই উদ্ধার পাইবে’। আপনি যদি প্রতিদিন তিনবার করে জয় বাবা লোকনাথ, জয় লোকনাথ, জয় শিব লোকনাথ বলতে পারেন, তাহলেই আপনি সমস্ত কষ্ট এবং দুঃখ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। এই মন্ত্রটি প্রতিদিন জপ করলে আপনার জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে। অচিরেই আপনি অর্জন করতে পারবেন ধন, সম্পদ, ঐশ্বর্য।