ড্রাই ফ্রুটসের মধ্যে কিসমিশ একটি অন্যতম প্রধান খাদ্য। আঙ্গুর শুকিয়ে গেলে তা কিসমিসে পরিণত হয়। সেই শুকনো আঙ্গুর যেমন পায়েস, পোলাওয়ের মতো বিভিন্ন রাজসিক খাবার-দাবার তৈরি করতে লাগে, তেমনই স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ বরাবর নিজেদের ডায়েটে কিসমিশ রাখতে পছন্দ করেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, কিসমিশ শরীরের পক্ষে খুব ভালো।
এই মধ্যে যেমন একাধারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি, তেমনই এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা হৃদপিণ্ডকে সুস্থ সবল রাখে। পাশাপাশি, রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এছাড়া কিশমিশ হলো আয়রনের সম্ভার, যার ফলে রক্তাল্পতা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই মহিলারা রক্তাল্পতায় ভূগোলে তাদের কিসমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
ঘরোয়া টোটকা অনুযায়ী, রাতে ২ কাপ জলে ৭-৮ টা কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে কিসমিশ গুলি তুলে নিয়ে শুধুমাত্র জলটাকে হালকা গরম করে খালি পেটে সেই জলটা খেতে হবে। তাহলেই দূর হবে পেটের সমস্যা। কারণ কিসমিশ ভেজানো জল নাকি কিডনি এবং লিভার ভালো রাখে। তবে, এই জল পানের আধঘণ্টার মধ্যে অন্য কোনো খাবার খাওয়া যাবেনা।
পাশাপাশি, এই পদ্ধতিতে পরপর তিন থেকে চার দিন কিসমিশ ভেজানো জল খেতে হবে। তবে কিশমিশ যত বেশি গাঢ় হবে, সেই কিসমিশ ভেজানো জল ততো বেশি উপকারী হবে। যারা হজমের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য অব্যর্থ টোটকা এটি। এই পানীয় তাদের পেট পরিষ্কার রাখবে। নিয়মিত পান করলে হার্ট, কিডনি এবং লিভারের সমস্যা দূর হবে।