আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ বা সাংসারিক চাপ এতটাই বেশি যে মানুষ দুর্বল মনের পাশাপাশি দুর্বল স্বাস্থ্যেরও অধিকারী হচ্ছে ধীরে ধীরে। আর সেই কারণেই একটি সিরিয়াস সমস্যা মানুষের জীবনে জাঁকিয়ে বসেছে, তা হল প্যানিক অ্যাটাক। যা মানুষের মনের মধ্যে ক্রমাগত মৃত্যুভয় তৈরী করে। কোনো কোনো মানুষের কাছে এটি এমন একটি সমস্যায় পরিণত হয় যে তারা মনে করে তাদের এই বুঝি হার্ট অ্যাটাক হবে। প্যানিক অ্যাটাকে মানুষের চতুর্দিক কেমন যেন শূন্য হয়ে যায়, যে কারণে সে বুঝতে পারে না সেই মুহুর্তে তার কি করা উচিত। তাই আজকের প্রতিবেদনের বিষয় প্যানিক অ্যাটাকের পরিস্থিতি থেকে কিভাবে সহজে বেরিয়ে আসা যায়।
প্যানিক অ্যাটাকের লক্ষণ – স্থান কাল পাত্র মেনে তো আর প্যানিক অ্যাটাক হয় না! যে কোনো সময়ে যে কোনো জায়গায় ঘটতে পারে। এহেন সমস্যা য় ব্যক্তি র হার্ট বিট হঠাৎ অধিক বেড়ে যায় বলে ঘাম, শ্বাসকষ্ট, দমবন্ধ, মাথাঘোরা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি অনুভূতি শুরু হয়। এগুলি প্যানিক অ্যাটাকের খুব সাধারণ লক্ষণ। যদি একজন ব্যক্তি র এহেন প্যানিক অ্যাটাকের সমস্যা থাকে তাহলে তাকে কখনোই গুরুত্বহীন ভাবা ঠিক নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
প্যানিক অ্যাটাকের কারণ – প্যানিক অ্যাটাকের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। চলুন সেগুলি একে একে জেনে নেওয়া যাক।
যে কোনো বিষয়ে অতিরিক্ত চাপ
অতিরিক্ত ক্যাফেইন পান করা
অতীতের কোনো দুর্ঘটনা
অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা ড্রাগের ব্যবহার।
সাহায্য – কোনো প্যানিক অ্যাটাক ব্যক্তিকে সাহায্য করবেন কিভাবে সেই বিষয়েও আপনাদের জেনে রাখা প্রয়োজন।
জল দেওয়া – এহেন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিকে শান্ত করা বিশেষভাবে দরকার। তাই ঠান্ডা জলে ব্যক্তির প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র যখন সক্রিয় হয় তখন ধীরে ধীরে ব্যক্তি শান্ত হয়ে যায়। প্যানিক অ্যাটাকের সময় ব্যক্তির হাতে, পায়ে জল ঢালতে পারেন, প্রয়োজনে ঘাড়ে, মাথায় জল লাগান।
আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে কথা বলা – যদি কারো প্যানিক অ্যাটাক হয় তাহলে তাকে কিছুটা সময় দিন। তার সাথে কোনো শান্ত জায়গায় বসুন, সময় কাটান এবং প্রয়োজনে কথা বলুন। এতে তার মন শান্ত হবে এবং এহেন আক্রমণ থেকে রেহাই পাবেন।
গ্রাউন্ডিং কৌশল ব্যবহার – প্যানিক অ্যাটাক থেকে কোনো ব্যক্তিকে শান্ত করতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে পাঁচটি ইন্দ্রিয়। এই ক্ষেত্রে গ্রাউন্ডিং প্রযুক্তি গত সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। একটি সাধারণ গ্রাউন্ড কৌশল হল 5-4-3-2-1, যাতে আপনি কোনো প্যানিক অ্যাটাক ব্যক্তিকে পাঁচটি জিনিস তালিকাভুক্ত করতে বলেন। সেখানে তাকে ভাবতে বাধ্য করতে পারেন এমন পাঁচটি জিনিসের কথা যা আপনি চোখে দেখতে পান বা চারটি এমন জিনিসের কথা ভাবতে বলতে পারেন যা স্পর্শ করা যায়।