সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের নগ্রেটা এলাকা থেকে পাক মদতপুষ্ট কুখ্যাত জঙ্গী সংগঠন জয়েশ-ই-মোহাম্মদের চারজন সক্রিয় সদস্যকে ভারতে অনুপ্রবেশের আগেই খতম করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পাকিস্তান থেকে আগত এই চার জঙ্গী সদস্যের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে অনুপ্রবেশ চালিয়ে জঙ্গী নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালানো। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনী তৎপরতায় জয়েশের সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, পাকিস্তান থেকে নগ্রেটা অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য সুড়ঙ্গ পথ ধরেছিল জঙ্গী সদস্যরা। ভারতীয় সেনার নজর এড়িয়ে ১৫০ মিটার বিস্তৃত এই সুড়ঙ্গপথ ধরেই জঙ্গিরা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়েছিল। ভারতীয় সেনার অনুমান, সুড়ঙ্গ পথে তাদের পথ দেখিয়ে এনেছিল কোনো এক পাক রেঞ্জার। নতুবা তাদের একার পক্ষে উপত্যকায় প্রবেশ করা সম্ভবপর ছিল না।
ভারতের ১৭৩ ব্যাটেলিয়নের এক সেনা কর্মী কমান্ড্যান্ট রাঠোর রীতিমতো হামাগুড়ি দিয়ে এই সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রবেশ করেছিলেন। সুড়ঙ্গপথে অভিযান চালিয়ে কিছু এমন তথ্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যার থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় জঙ্গিরা দীর্ঘদিন ধরেই এই সুড়ঙ্গ পথ ব্যবহার করছিল। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে তারা এই সুড়ঙ্গের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল। পাক সেনা কর্মীরাই এদের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং জলের বোতল সরবরাহ করতো।
সুড়ঙ্গের মধ্যে লাহোরের “মাস্টার কুইসিন কাপকেক” সংস্থার বিস্কুটের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে যার উৎপাদনের তারিখ চলতি বছরের মে মাস এবং এক্সপায়ারি ডেট রয়েছে নভেম্বরে। জইশ-এর শকরগড় জঙ্গী ঘাঁটি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই জঙ্গিরা রামগড় ও হিরানগর সেক্টরের মধ্যবর্তী সাম্বা জেলার মাওয়ার অঞল পর্যন্ত এই সুড়ঙ্গ পথ ধরেই এসেছিল। এরপর পাকিস্তানের নঙ্গওয়াল সেক্টরের উল্টোদিকে অবস্থিত ভারতীয় গ্রাম জটওয়াল থেকেই সম্ভবত তাদের ট্রাকে তোলা হয়, যে ট্রাকের মাধ্যমে জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তাদের সেই পরিকল্পনা উপত্যকা অঞ্চলেই ব্যর্থ হয়ে যায়।