নিউইয়র্ক এর স্ট্যাচু অফ লিবার্টি থেকেও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে স্ট্যাচু অফ ইউনিটির। এই করোনা কালেও মানুষ বেশি আগ্রহী স্ট্যাচু অফ ইউনিটির দর্শন করতে। কারণ স্ট্যাচু অফ ইউনিট এর জন্যই নয় গুজরাটের কেভাদিয়ায় স্ট্যাচু ছাড়াও রয়েছে আরোগ্য ভ্যান, ডায়েট পার্ক, তাবুতে থাকা ও সাথে রিভার রাফটিংএরও সুবিধা। যার ফলে এই করোনা কালেও, বিশ্বজোড়া পর্যটকদের দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে গুজরাটের স্ট্যাচু অফ ইউনিটি। অবশ্য এর আগেই প্রধানমন্ত্রী স্থানকে বিশেষ দ্রষ্টব্য স্থান বলে উল্লেখ করেছেন।
স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, মোদি সরকারের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের ১৮২ মিটার মূর্তি। একেবারে ৬০ তলা উঁচু বিল্ডিং এর মত উচ্চতা, নর্মদা নদীর তীরে সাতপুরা ও বিন্ধ্যাচল পর্বত এর মাঝে দাঁড়িয়ে এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি। যার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি চোখ ধাঁধানো। এই নিয়ে রাজিব গুপ্ত যিনি কিনা গুজরাটের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, তিনি জানিয়েছেন আগের থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই জায়গাটিতে একেবারে সুন্দর করে তুলতে চাইছিল। এখন স্ট্যাচু অফ ইউনিটি এই স্থানের মূল আকর্ষণে দাঁড়িয়েছে।
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে লকডাউন এর আগের থেকে দৈনিক ১৩ হাজার পর্যটক ভিড় জমাতো এখানে, তবে লকডাউন এর পরেও যে বিন্দুমাত্র আকর্ষণ কমেছে সেটা কিন্তু চোখে পড়েনি। কারণ লকডাউন এর পরে দৈনিক পর্যটকের সংখ্যা ১০ হাজারের কাছাকাছি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল নামক একটি জুলজিক্যাল পার্ক উদ্বোধন করেছেন। এখন এটাও একটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে পর্যটকদের কাছে।