কন্যা দানের সামগ্রী নয়। তাই কন্যাদান নয়, বরং মেয়ের বিয়েতে রক্তদানের আয়োজন করা যাক। এই মর্মে কার্যত সামাজিক প্রথা ভেঙে অভিনব উপায়ে মেয়ের বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন এক বাবা। আর তাতেই কার্যত কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। উত্তরোত্তর চাপ বৃদ্ধি করা হচ্ছে তার উপর। এমনকি মেয়ের বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য চাপ আসছে। ফোনে অনবরত খুনের হুমকিও পাচ্ছেন তিনি।
হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, কন্যাদান ছাড়া এক হিন্দু বিবাহরীতিতে বিবাহ সম্পন্ন হয় না। তাই তিনি এই ভাবে কার্যত হিন্দুত্বের অপমান করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামি ডিসেম্বর মাসে মেয়ের বিয়ে নিয়ে খানিক চিন্তায় রয়েছেন বাবা। বিয়ের আমন্ত্রণপত্রটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। তার এমন উদ্যোগকে যেমন সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই, তেমনই অনেকে আবার এর নিন্দাও করছেন।
হিন্দু রীতি নীতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগেও বহু ক্ষেত্রে বাদানুবাদ হয়েছে হিন্দুত্বের বহু রীতিনীতি নিয়ে। অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’তেও কার্যত এমন অনেক বিবাহ রীতি নীতি নিয়ে ছোটখাটো প্রশ্ন তুলেছেন মহিলা পুরোহিত শবরী তথা ঋতাভরী চক্রবর্তী। সবক্ষেত্রেই কার্যত দান সামগ্রী নিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আবার হালফিলে বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট একটি পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থার বিজ্ঞাপন করতে গিয়েও কন্যাদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কন্যাদান নয়, বরং হোক কন্যা মান। তাতেও আপত্তি নেটিজেনদের। এবার সেই একই দৃশ্য যখন বাস্তবের মাটিতে ধরা পড়লো তখন তাকে ঘিরেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও ওই ব্যক্তি অবশ্যই নিজের বিশ্বাস থেকে নড়তে নারাজ। তিনি যা বিশ্বাস করেন, তিনি সেটাই লিখেছেন। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।