আমাদের ভারতে লেনদেনের জন্য বিভিন্ন মূল্যের নোট ও কয়েন রয়েছে। যার প্রতিটা নোটই একে অপরের থেকে আলাদা আলাদা দেখতে। প্রতিটা কয়েন বা নোটে আমরা বিভিন্ন ধরনের নক্সা দেখতে পাই কিন্তু অর্ধেকের বেশী মানুষ সেই নক্সা গুলোর বিষয়ে জানেন না।
এই যেমন বর্তমানে নতুন একশো টাকার নোটে আমরা গান্ধীজির মূর্তি দেখতে পাই। কিন্তু পুরনো একশো টাকাও এখনও চালু রয়েছে। সেই পুরোনো একশো টাকার নোটে একটা পাহাড়ের ছবি দেখতে পাওয়া যায়। এই পুরানো ১০০ টাকার পিছনে বরফাবৃত পর্বতশৃঙ্গকে অনেকেই কৈলাশ পর্বত মনে করেন। তবে সেটি একেবারেই ভুল। প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ জানেন না এই পাহাড়ের নাম। এটি কৈলাশ বা অন্য কোনো পর্বত নয়। পুরানো নোটের পিছনে থাকা বরফাবৃত পাহাড়টি হিমালয়ের পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। যা বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ।
এখন প্রশ্ন হলো এত পাহাড় থাকতে কেন ১০০ টাকার নোটের পিছনে স্থান পেল কাঞ্চনজঙ্ঘা সে নিয়ে অনেকের মনেই নানা প্রশ্ন রয়েছে। আসলে এটির অবস্থান সিকিম রাজ্যের নর্থ-ইস্ট ভারত ও ইস্টার্ন নেপালের বর্ডারে। যার উচ্চতা প্রায় ৮,৫৮৬ মিটার। নোটে যে পাহাড়ের অংশটি দেখা যাচ্ছে, সেই পাহাড়ের দক্ষিণ দিকে গোচেলা পাস থেকে চোখে পরে। তাহলে এখন জেনে গেলেন ১০০ টাকার পিছনে কোন পাহাড় রয়েছে। এছাড়া ১০০ নোট নিয়ে আরেকটি বিষয় জানিয়ে রাখি, এই নোটে দেশের ১৭টি আঞ্চলিক ভাষায় উল্লেখ রয়েছে যথা ইংরেজি, হিন্দি, সংস্কৃত,, বাংলা, গুজরাটি, কন্নড়, কাশ্মীরি, কোঙ্কনি,উর্দু, মারাঠি, নেপালি, অসমীয়া, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি,, তামিল, তেলেগু এবং মালয়ালাম।