অনেকেরই যমজ সন্তানের খুব ইচ্ছা? জানুন বিশদে

9
অনেকেরই যমজ সন্তানের খুব ইচ্ছা? জানুন বিশদে

প্রতিটি মেয়ে মাতৃত্বের স্বাদ অনুভব করতে চায়। মাতৃত্ব প্রতিটি মেয়ের কাছে একটি আশীর্বাদ এর মত। মা ডাক আমরা সকলেই শুনতে চাই। আর যদি একজনের জায়গায় দুজনে একসাথে মা ডাকে, তাহলে তো কথাই নেই। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের যমজ সন্তানের খুব ইচ্ছা। কিন্তু এটি তো আর আমাদের হাতের মধ্যে থাকে না, তাই আমাদের সকলের ইচ্ছা থাকলেও সেই ইচ্ছা পূরণ হয়না। তবে যমজ সন্তান সম্পর্কে আমাদের কৌতুহল বরাবর। একই দেখতে কি করে দুটি মানুষ আমাদের গর্বের একইসঙ্গে বড় হয়? তা নিয়ে আমরা চিরকাল চিন্তিত। আসুন আজকে এই প্রতিবেদনের জেনে নেওয়া যাক যে, যমজ সন্তানের সম্পর্কে কিছু অজানা কথা।

যমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য বেশকিছু ফ্যাক্টর আগে থেকে ঠিক হয়ে থাকে। যমজ সন্তান অথবা যে কোন সন্তান ছেলে হবে অথবা মেয়ে হবে কিনা তা আমরা আগে থেকে কি করে জানবো তা নিয়ে আলোচনা করা যাক। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান বলছে যে, যমজ সন্তান জন্মের হার আগের থেকে অনেকটাই বেড়ে গেছে। ১৯৮০ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত এই বৃদ্ধির হার ৭৬ শতাংশ।১৯৮০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সদ্যভূমিষ্ঠ প্রতি ৫৩ শিশুর মধ্যে একজন যমজ হত। ২০০৯ সালের হিসেবে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ৩০ জনে একজন।সম্প্রতি যমজ সন্তানের মায়েদের উপর গবেষণা চালিয়েছে ‘জার্নাল অব রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন’।

এই গবেষণা থেকে উঠে এসে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য জানলে নিশ্চিত আপনি অবাক হয়ে যাবেন। এই গবেষণা থেকে উঠে এসেছে যে যমজ সন্তান ধারণের জন্য মায়ের উচ্চতা একটি বড়সড় কারণ হয়ে থাকে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে, মায়ের উচ্চতার সঙ্গে যমজ সন্তান জন্মদানের সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের শরীরে বেড়ে ওঠার জন্য বেশ কিছু বিষয় কাজ করে যাকে বলা হয় গ্রোথ ফ্যাক্টর। ইনসুলিন নামের এক ধরনের বিশেষ প্রোটিন আমাদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ইনসুলিন মেয়েদের লম্বা হবার প্রবণতা এবং যমজ সন্তান জন্মদানের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে। তাই যে মেয়েরা অপেক্ষাকৃত একটু বেশি লম্বা হয়, তাদের যমজ সন্তান ধারণের ক্ষমতা একটু হলেও বেড়ে যায়।