রেস্টুরেন্ট স্টাইলের চিকেন কারি বাড়িতে বানানোর টিপস জেনে নিন

13
রেস্টুরেন্ট স্টাইলের চিকেন কারি বাড়িতে বানানোর টিপস জেনে নিন

রেস্টুরেন্ট স্টাইলের চিকেন খেতে কে না পছন্দ করেন, তার উপর যদি বাড়িতে এমন চিকেন রান্না করা যায় তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু রান্না সময় বেশ কিছু দিকে নজর রাখা ভীষণভাবে দরকার। বাড়িতে রান্না করার সময় অনেক সময় আমরা নিজেদের অজান্তে কিছু ভুল করে বসি। তাই চিকেন কারিতে মনের মত স্বাদ আসেনা। আজ এই প্রতিবেদনে সেই ভুলগুলি আলোচনা করব যেগুলি না করলে আপনি আগের মতো স্বাদ পাবেন আপনারা রান্নায়।

অনেক সময় রান্না করার সময় আমরা পিয়াজ এবং টমেটো বড় বড় সাইজ করে কেটে ফেলি। এমন করলে রান্নার স্বাদ ভালো হয় না দেখতেও খারাপ লাগে। বড় সাইজের পেঁয়াজ এবং টমেটো মুখে পড়লে বিষাদ লাগে। তাই রান্নায় ব্যবহার করতে হয় মিহি করে পেঁয়াজ কাটা অথবা বাটা। ব্যবহার করতে হয় টমেটো পিউরি

মসলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে কোন রান্নার ক্ষেত্রে। চিকেন কারি রান্না করার সময় কোন মসলা কখন দিতে হবে তা অনেকেই জানেনা। রান্না সঠিক পদ্ধতি হলো তেল গরম করে গোটা মশলার ফরন দেওয়া। তারপর পেঁয়াজ দিয়ে কষিয়ে নিয়ে গুঁড়ো মশলা নুন আদা হলুদ কাঁচা লঙ্কা দিতে হয়। মশলা যেন কোনভাবে পুড়ে না যায় সেদিকে নজর দিতে হয়। কষানো হয়ে গেলে আজ বাড়িয়ে কিংবা কমিয়ে নিয়ে নামিয়ে নিতে হয়।

গরম মসলা কখনো রান্না শুরুতে বা কষানোর সময় দেওয়া যায় না, এটি স্বাদ এবং গন্ধ দুটোই চলে যায়। তবে তো পুরি দিয়ে রান্না ভালো করে কষানো হয়ে যাবার পর গরম মসলা দেওয়া উচিত। রান্না শেষে আরো একবার উপর থেকে গরম মসলার গুঁড়া ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।

চিকেন কারি বানানোর সময় ধৈর্য ধরতে হবে। মাজারি আছে আস্তে আস্তে মসলা দিতে হবে। তাড়াহুড়ো করলে কোন রান্না ভালো হবে না।

রান্না করার সময় অবশ্যই গন্ধ নিয়ে দেখতে হবে রান্না ঠিক হচ্ছে কিনা। প্রত্যেকটা উপকরণ মিশিয়ে দেবার পর মসলার গন্ধ নিতে হবে ভালো করে।

নুন বেশি বা কম হলে কোন ভাবেই খাওয়া যায় না সেই রান্না। কোনভাবে যদি নুন বেশি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে খোসা ছাড়িয়ে আলুর টুকরো গ্রেভির মধ্যে দিয়ে দিলে বাড়তি নুন আলু টেনে নেয়।

পেঁয়াজ ঠিকমতো ভাজা না হলে টেস্ট খারাপ হয়ে যায় তাই পেঁয়াজ করছি ভালো করে কেটে বেটে বা স্লাইস করে কেটে নিয়ে ভেজে নিতে হবে। পেঁয়াজ আবার অতিরিক্ত খারাপ হয়ে যায় তাই মাঝারি আচে ভাল করে পেঁয়াজ ভেজে নিতে হবে।।