সাধারণত ঘরবাড়ি থাকলে সেখানে মাছি মশার উপদ্রব থাকবে। এখনো পর্যন্ত বাজারে নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য এসে থাকলেও এই দুই পতঙ্গকে বাগে আনার মত কোন রাস্তা পাওয়া যায়নি। বাজারে নানারকম ধুপ, ধুনো, কয়েল কিংবা স্প্রে এসে থাকলেও তার প্রভাব থাকে তাদের ওপর মাত্র কয়েক ঘন্টা। এই প্রতিবেদনে আমরা এই মাছি মশা তাড়ানোর কিছু টিপস বলব যেগুলি আপনারা ব্যবহার করে চিরতরে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
বিভিন্ন নোংরা জায়গায় মাছি মশার উপদ্রব হয়ে থাকে, সেই কারণে খোলা খাবার দাবার কখনই রাখা উচিত নয়। কারণ সেই খাবারের ওপর যদি মাছি অথবা মশা এসে পড়ে তাহলে কিন্তু নানান রোগের সমস্যা হতে পারে মানব শরীরে, কারণ এই সমস্ত মশা মাছির গায়ে লেগে থাকে নানান রকমের রোগের জীবাণু।
রান্নাঘর যদি অপরিষ্কার থাকে তবে সেখানে মাছির উপদ্রব হবে। এই সমস্যা দূর করার জন্য একটি পাত্রের মধ্যে নুন জল নিয়ে সেটাকে ফুটিয়ে সারা ঘরে স্প্রে করে দিন। রান্নাঘরের প্রত্যেকটা কোনায় কোনায় ছড়িয়ে দিতে হবে। এই নুন জলের স্প্রে মাছিরা একদম সহ্য করতে পারে না।
এছাড়া এক গ্লাস দুধের মধ্যে কয়েকটা গোলমরিচ এবং চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে রান্নাঘরের এক কোনায় রেখে দিন। দুধের এই মিশ্রণ যদি রান্নাঘরের থাকে, তবে সেখানে মাছি আর আসবে না।
এছাড়াও মাছি তাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে কাগজের চোঙা। একটি পাত্র কিংবা ফুলদানির মধ্যে তরল পদার্থ নিয়ে কাগজের চোঙা বানিয়ে পাত্রের মুখে রেখে দিন, তাতে ওই তরল পদার্থের প্রতি মাছি যেই আকৃষ্ট হবে। তেমনি ওই কাগজের চোঙার দিয়ে পাত্রের মধ্যে প্রবেশ করবে এবং আর উঠে আসতে পারবে না। আপনি যদি চান যে মাছি মেরে ফেলতে তাহলে, সেই তরল পদার্থের মধ্যে সাবান জল কিংবা গরম জল রেখে দিলে তা হতে পারে।
এছাড়াও মাছি মারতে ভিনিগার অনেক বেশি কাজে দেয়। মাছি ভিনিগারের গন্ধে আকৃষ্ট হয়। একটি পাত্রের মধ্যে ভিনিগার নিয়ে পাত্রটি একটি প্লাস্টিকের সাহায্যে মুরে দিন এবং ওই থলির গায়ে ছোট ছোট ছিদ্র করে দিতে হবে। ওই ছিদ্র দিয়ে মাছি প্রবেশ করলে ভেতরে আর বেড়িয়ে আসতে পারবে না।