আমরা সকলেই চাই যে আমাদের যৌবন চিরকাল আমাদের সাথে থাকুক। কিন্তু আসলে তা হয় না। চিরকাল যৌবন ধরে রাখার জন্য আমরা দামি দামি কসমেটিক আমাদের মুখে মাখি। কিন্তু তাতে পার্মানেন্ট সলিউশন হয় না। আজকে আমরা জেনে নেবো এমন কিছু ভেষজ উপাদান, যা সেবন করলে আমাদের দেহের অনেক সমস্যা চিরকালের জন্য চলে যাবে।
এমনই একটি ভেষজ উপাদান হলো থানকুনি। থানকুনি পাতা আমাদের অনেক মানুষেরই পরিচিত পাতা। এই থানকুনি পাতা পুকুর অথবা জলাশয় দেখতে পাওয়া যায়। এই থানকুনি পাতার ভেষজ গুণ রয়েছে, এদিকে যদি নিয়মিত পান করা যায় তাহলে পেটের অসুখে কোনদিন আপনাকে আর ভুগতে হবে না। শরীর-স্বাস্থ্য সতেজ থাকার পাশাপাশি আপনার যৌবন আপনি ধরে রাখতে পারবেন এই পাতা খেলে।
শুধুমাত্র পেটের রোগ নয়, আলসার হাপানি সহ নানা চর্ম রোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। থানকুনি পাতা মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে আপনার স্মৃতি শক্তির বিকাশ ঘটবে। থানকুনি পাতা স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময় মৃতকোষের ফলে চামড়ার অনেক শুষ্ক ছাল উঠে যায়। থানকুনির পাতার রস মৃত কোষগুলি পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।
কোন পুরনো ক্ষত থাকলে কোন ওষুধ ছাড়া শুধুমাত্র থানকুনি পাতা ব্যবহার করে সেখানে লাগাতে পারলে তা থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। থানকুনি পাতার চুলপড়া আটকে দেয়। এখন মেয়েদের প্রধান সমস্যা চুল পড়ে যাওয়া।তাই অবিলম্বে যদি থানকুনি পাতা বেটে চুলে লাগাতে পারিনি তাহলে চুল পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করবে এই পাতা।
বয়স বেড়ে গেলে তা ধরে রাখতে সাহায্য করে থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন যদি এক গ্লাস দুধে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে আপনার চেহারায় লাবণ্য চলে আসবে, যার ফলে আপনার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাবে। দাঁতের রোগ সারানোর জন্য থানকুনি পাতার জুড়ি মেলা ভার। যদি আপনার মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে অথবা দাঁতে ব্যথা হয়, তাহলে একটি বড় বাটিতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন।