চাণক্য সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। চালাক একজন যোগ্য শিক্ষক ছিলেন সেই সময়ের। তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতেন তিনি। তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ছিলেন পরে তিনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছিলেন। তিনি চিরকাল চাইতেন যে তার নীতি এবং আদর্শ বাচ্চাদের পড়াশোনা করানো হোক। চাণক্যের মতে শিশুদের প্রথম শিক্ষক হলেন তার মা এবং বাবা। পিতামাতাদের তাদের সন্তানের পড়াশোনা সম্পর্কে প্রচন্ড পরিমাণে সচেতন হওয়া উচিত। চাণক্য নিজেই যেহেতু একজন শিক্ষাবিদ ছিলেন তাই শিক্ষার গুরুত্ব তিনি খুব ভালোভাবে বুঝতে পারতেন। চাণক্য বিশ্বাস করতেন যে ভালো মূল্যবোধ একটি শিক্ষিত ব্যক্তি কে জীবনে সাফল্য এনে দিতে পারে।
চাণক্যের মতে, শিশুরা যখন ছোট থাকে তখন তাদের নজরদারি করা উচিত কারণ শিশুরা যখন ছোট হয় তখন তারা অনেকগুলি ভুল অভ্যাসের প্রতি স্বাভাবিক ভাবে আকৃষ্ট হয়ে পরে। শিশু বয়সে পিতামাতাদের উচিৎ সঠিকভাবে সন্তান লালন পালন করা। চাণক্যের মতে, কখনোই কোনো শিশুকে মিথ্যে কথা বলা শেখানো উচিত নয়। শিশুরা বলা উচিত যে মিথ্যা কথা বলা একটি খারাপ অভ্যাস। যদি কখনো কোনো শিশুর মধ্যে মিথ্যে কথা বলার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় তাহলে সেটি প্রথম থেকেই গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত। বাচ্চাদের ভালোবাসার সঙ্গে বোঝানো উচিত যে মিথ্যা কথা বলা একেবারেই উচিত নয়। প্রথম থেকেই না বললে শিশু পরবর্তীকালে ভুল পথে চলে যায়।
চাণক্যের মতে, মহাপুরুষ সম্পর্কে সব সময় বাচ্চাদের অবগত থাকা উচিত। শিশুরা তার চারপাশে ক্রিয়া-কলাপ কি খুব তাড়াতাড়ি আয়ত্ত করতে পারে। শিশুদের ভুল অভ্যাস থেকে দূরে সরানোর জন্য উচিত মহান পুরুষের সম্পর্কে অবগত করানো।চাণক্যের মতে, বাচ্চারা যখন বিশ্বাস করা বন্ধ করে দেয় তখন তারা ঠিক এবং ভুলের পার্থক্যটা পারেনা। এজাতীয় পরিস্থিতিতে শিশুদের মধ্যে বিকাশ হওয়া ভুল অভ্যাস গুলি দূর করার জন্য যত্ন সহকারে সেগুলি দেখা উচিত। অনেক সময় বাচ্চারা বড়দের কথা শোনা বন্ধ করে দেয় এবং নিজের পছন্দের মত জিনিস করা শুরু করে দেয়। এই সময় বাবা মাকে খুব সতর্কভাবে যত্ন সহকারে তাদের এই অবস্থা থেকে মুক্ত করা উচিত।