জানুন শালিগ্রাম শিলার নানান মাহাত্ম্য কথা

15
জানুন শালিগ্রাম শিলার নানান মাহাত্ম্য কথা

হিন্দু ধর্মশাস্ত্রের রয়েছে নানান মাহাত্ম্য এবং সেই মাহাত্বের মধ্যে এক অন্যতম হলো শালিগ্রাম শিলা, যাকে হিন্দু ধর্মে বিষ্ণু রূপে পুজো করা হয়। কারণ বলা হয় শ্রীবিষ্ণুর অপর নামই হলো শালিগ্রাম। তবে এর পেছনেও রয়েছে একটি কথিত কাহিনী সেটি হল নারায়ণ বা বিষ্ণু বৃন্দাদেবীর অভিশাপে অভিশপ্ত হয়ে শালিগ্রাম নামে নিজেকে পরিচিতি দেন। সেই থেকে এই পাথরকে বলা হয়ে থাকে শালিগ্রাম পাথর। শালিগ্রাম শিলা হল একপ্রকারের ফসিল।

এই শালগ্রাম শিলা পাওয়া যায় নেপালের কালীগন্ডকি নদী খাতে। কালিগন্ডকি তাই শালিগ্রাম শীলার অপর নাম। নেপালের এই কালী গণ্ডকি নদীর পাশেই রয়েছে শালগ্রাম নামে একটি গ্রাম। মূলত এই গ্রামের নাম অনুসারেই শিলার নামকরণ করা হয়েছে। তবে শিবলিঙ্গকে যেমন মহাদেব রুপে পূজা করা হয় এবং সেই পূজো যেভাবে বহুল প্রচলিত তেমনি শালিগ্রাম শীলাকে নারায়ণ রূপে পূজা করা হয় কিন্তু এই শালিগ্রাম শিলার পুজো অতটা প্রচলিত নয় আমাদের দেশে।

শালিগ্রাম শিলার মন্দির রয়েছে নেপালের মুক্তিনাথে, মূলত সেটি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মানুষদেরই মন্দির এবং এই মন্দিরে পূজো দিলে মানুষের জীবনের সব দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যায়।এ সম্পর্কে নানান প্রচলিত মিথ রয়েছে। এই শালিগ্রাম শিলা আবার পাওয়া যায় নানান রঙেরও যেমন কালো সাদা খয়েরি নীল এবং সোনালী। যার মধ্যে সোনালী শালিগ্রাম শিলা অত্যন্ত দুর্লভ।

তবে এই শালিগ্রাম শিলা মোট ৩৩ রকমের হয় যার মধ্যে ২৪ ধরনের শালিগ্রাম শিলাকেই নারায়ন রূপে পূজিত করা হয়। এছাড়াও শাস্ত্রে রয়েছে মাসে দুটি করে একাদশী হয়ে থাকে সেই হিসেবে ২৪টি একাদশী ২৪ ধরনের শালিগ্রাম শিলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই শালিগ্রাম শিলা দেখতে অনেকটা গোলাকার হয় আবার কখনো কখনো তা মাছের মতও দেখতে হয়। কিন্তু তখন তাকে বিষ্ণুর মৎস্য অবতার বলেও মনে করা হয়। আবার কখনো পাওয়া গেছে কচ্ছপকার শালিগ্রাম শিলা, যা বিষ্ণুর করমু অবতারের প্রতিচ্ছবি বলেও মনে করা হয়। হিন্দু শাস্ত্রে শালিগ্রাম শিলার যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তা অনস্বীকার্য।