রানাঘাট স্টেশনে গান গেয়ে নেটবাসীদের দৌলতেই রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন রানু মন্ডল। প্ল্যাটফর্মে বসেই খালি গলায় গান ধরেছিলেন রানু, পরনে ছিল নোংরা ছেঁড়া পোশাক, মুখে চোখে লেগে ছিল ময়লা। কিন্তু তার গান শুনে মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন এক পথচারী। সেই গান রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই ঝড়ের গতিতে তা ভাইরাল হয়ে যায়। আর তারপরেই ঘটেছিল ম্যাজিক।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই ভিডিও যে হিমেশ রেশমিয়ার কাছে পৌঁছে যাবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারে নি স্বয়ং রানু মন্ডল। এরপর হিমেশ রেশমিয়ার দৌলতে রানুর সেই প্রতিভা পৌঁছে যায় সারা বিশ্বের দরবারে। রানুর সঙ্গে ডুয়েটে গান বাঁধেন হিমেশ – ‘তেরি মেরি কাহানি’। আর তার সেই গান শোনা গিয়েছিল গত বছর প্রত্যেক পুজো মন্ডপে। সেই গান মুখে মুখে ফিরেছিল জনসাধারণের।
কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রানু মন্ডলের ফের শোচনীয় অবস্থা। ভিক্ষাবৃত্তিই পুনরায় তার পেশা হয়ে ওঠে। তার কারণ সাফল্য পাওয়ার পরেই অসংখ্য বেফাঁস মন্তব্য করে দেখা গিয়েছে তাকে। জনপ্রিয় হওয়ার পর সকলেই তাকে নিয়ে মাতামাতি করলেও পরে সকলেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তার দিক থেকে। আর তার জেরেই সাফল্যের চূড়াতে ওঠার পরেও তার করুণ দশা ফিরে আসতে বেশি সময় লাগেনি।
প্রথমে পুরোটাই তার অহংকার মনে হয়েছিল ঠিকই কিন্তু পরে জানা যায় রানু দি মানসিকভাবে অসুস্থ। আর তাই-ই সে সময়ের কথা মাথায় না রেখেই বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেন। ইদানিং সেগুলোতেই বেশি মজা পায় নেটবাসী৷ অধিকাংশ সময়ই ইউটিউবাররা হাজির হয় তাঁর রানাঘাটের বাড়িতে। সেখানে রানুকে নানা ভাবে উস্কানিও দেওয়া হয়, এরপর রানু চটলেই তার ভিডিও পোস্ট করে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়, আর রাতারাতি সেসব ভাইরালও হয়ে পড়ে৷
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক রানু মন্ডলের জন্য কম্বল, পাঁঠার মাংস কিনে অসহায় গায়িকার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু রানু তাতে খুশি নয়, তার প্রশ্ন কোল্ড ড্রিংক্স আনিসনি? যুবকের উত্তর না হতেই রেগে আগুন রানু। ক্যামেরার সামনেই রানু তার আনা অত দামের খাসীর মাংস জানলা দিয়ে ফেলে দেয়। শুধু তাইই নয়, যুবককে বাজে ভাবে অপমান করে এবং চলে যেতে বলে। এই ঘটনায় খুব রেগে যান যুবকটিও, তাই সেও বলে ওঠেন সকলে তাকে নিয়ে যে এতো কুরুচিকর মন্তব্য করেন এবং ট্রোল করেন, তা একেবারেই ঠিক করেন। এই ভিডিও দেখে সকলেই নিন্দা করেছেন তার।