আজকাল কেউই নিজেদের জীবনে ঝুট ঝামেলা পছন্দ করে না। সকলেই একটু রিলাক্সড লাইফ চায়। আর এই করে করে পরিবার গুলোও আস্তে আস্তে সব অনু পরিবার হয়ে যাচ্ছে। কেউ আর দুটো তিনটে বেবির কথাও ভাবছে না বেশিরভাগ লোকই একটা মাত্র বেবিই নিচ্ছে। আবার এমন মানুষও দেখা যাচ্ছে যারা কিছুই নিতে ইচ্ছুক নয়।
আর এই নিয়ে জাপানে একটা সমীক্ষা করা হয় ১৭-১৯ বছর বয়স অবধি ব্যক্তিদের ওপর। সেই জরিপে দেখা গেছে, অর্ধেকেরও কম উত্তরদাতা ভাবছেন যে, তারা সন্তান নেবেন। এর থেকে এই ইঙ্গিতও পাওয়া যায় যে, পরিবারের চেয়ে তারা অনেকেই অর্থ উপার্জন এবং কাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এছাড়াও এনএইচকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর মাসে নিপ্পোন ফাউন্ডেশন ১৭ থেকে ১৯ বছর বয়সী এক হাজার লোকের ওপর এই অনলাইন জরিপ চালায়।
সেখানে সন্তান নিতে ইচ্ছুক কিনা জানতে চাওয়া হলে ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা ইতিবাচক উত্তর দেন।
কিন্তু এই বিষয়ে তাদের ইন্টারেস্ট থাকলেও তারা আসলেই সন্তান নেবেন কিনা জানতে চাইলে, ৪৬ শতাংশ উত্তরদাতা ইতিবাচক উত্তর দেয়ার পাশাপাশি ২৩ শতাংশ উত্তরদাতা না নেওয়ার কথাই বলেন।
অন্যদিকে ৩১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেন, তাদের এভাবে কিছু ভাবনা ভাবেইনি।
সন্তান নিতে ও একটি পরিবার শুরু করার জন্য কী কী বিষয় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে, ৬৯ শতাংশ মানুষ টাকার সমস্যাকেই বড়ো করে দেখিয়েছেন। ৫৪ শতাংশ বেছে নেন কাজ ও সন্তান প্রতিপালনের মধ্যে ভারসাম্য রাখার সমস্যাকে। অর্থাৎ কাজ ও সন্তান দুটোকে ব্যালান্স করা বেশ মুস্কিল হয়ে পড়ে সেটা একটি বিষয় বলে তাদের মনে হয়েছে।
শুধু তাই নয় ৩৭ শতাংশ নারীকে জিজ্ঞেস করে মানসিক চাপকে এবং ৩৬ শতাংশ শারীরিক চাপকে বাধা মনে করেন বলে জানা গেছে।
ওদিকে ৪৪ শতাংশ পুরুষ উত্তরদাতা সময়ের সীমাবদ্ধতাকে দায়ি করেন। এক্ষেত্রে নারী উত্তরদাতাদের চেয়ে পুরুষদের সংখ্যা ৫ শতাংশ বেশি ছিল।
মূলত জাপানের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত বছর দেশটিতে জন্মহার কমে যাওয়ার নতুন রেকর্ড হয়। আগের থেকে গত বছর সরকার যা ভেবেছিল তার চেয়েও আট লাখ কম শিশুর জন্ম হয়েছে জাপানে।
এর আগে ২০১৫ সালে দেশটিতে জন্মহার কমে যাওয়ার রেকর্ড হয়েছিল। তাই এই দেশটিতে জন্মের হার এতটাই কমে যে ভবিষ্যতে আরও জন্মহার কমার আশঙ্কা কমতে পারে মনে করছে জাপান সরকার।