কথাতেই আছে মা লক্ষী যার ওপর আশীর্বাদ বর্ষণ করেন তাঁর জীবনে কোনো চিন্তা থাকে না। তাই তো প্রতিটি হিন্দু গৃহস্থেই মা লক্ষীর আরাধনা করা হয় প্রতিদিন। তবে বৃহস্পতিবার যেহেতু লক্ষী বার তাই এই দিনে বিশেষ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলেন অনেকেই। নিরামিষ আহার করে শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে সকলেই লক্ষী আরাধনা করেন। কিন্তু আরাধনা করলেই হবে না দেবীকে সন্তুষ্ট করতে হলে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক এমনটাই বলে থাকেন বাস্তুবিশেষজ্ঞরা।
লক্ষী দেবীকে প্রসন্ন করতে প্রতি বৃহস্পতিবার ঠাকুর ধর বা লক্ষী দেবী যে স্থানে থাকেন সেই জায়গাকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন করে সেই জায়গায় আল্পনা দিয়ে দিতে হবে। একটি নতুন ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে তাতে আম শাখা ও একটি কলা দিতে হবে। তারপর শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে বাড়ির মহিলারা। সব একসঙ্গে বসে লক্ষী আরাধনা করবেন। এরজন্য পাঁচরকম নৈবেদ্য সাজিয়ে বা মায়ের ভোগপ্রসাদ হিসেবে খিচুরি পায়েস রান্না করেও দেওয়া যায়। সামনে একটি প্রদীপ জ্বেলে রেখে ধুপ ধুনা দিতে হবে।
এবং প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা বেলায় অবশ্যই মা লক্ষীর পাঁচালি জোর জোর পড়া উচিত। এতে মা লক্ষী প্রসন্ন হন। এদিন নিরামিষ খাবার খাওয়াটাই শ্রেয় বলে মনে করেন সকলে। প্রসঙ্গত, মালক্ষীর কৃপা পেতে শঙ্খ রাখবেন সাদা বা হলুদ কাপড়ের ওপের, বাঁশের বাঁশি সিল্কের কাপড়ে মুড়ে রেখে দেবে। কারণ যেহেতু শ্রীকৃষ্ণের পছন্দ বাঁশি, কৃষ্ণের একটি রূপবিষ্ণু তাই লক্ষী দেবীর বাঁশি অত্যন্ত পছন্দের একটি জিনিস।