নিয়ম মেনে সন্তোষী মাতার পুজা অর্চনা করলে মা নিজের কৃপা বর্ষণ করেন তাঁর ভক্তের উপর

11
নিয়ম মেনে সন্তোষী মাতার পুজা অর্চনা করলে মা নিজের কৃপা বর্ষণ করেন তাঁর ভক্তের উপর

মা সন্তোষীর ব্রত পালনে জীবনে দুঃখ-কষ্ট নিরাময় হয়। এই দেবীর এক হাতে থাকে তরবারি, এক হাস্তে চালের পাত্র ও অন্য হাতে রয়েছে ত্রিশূল। যারা এই দেবীর ব্রত পালন করেন তাদের জীবনের দুঃখ কষ্টকে মা তাঁর তরবারি দিয়ে নিহত করে। একটানা ১৬টি শুক্রবার ধরে পুজা অর্চনা করলেই মা নিজের কৃপা বর্ষণ করেন তাঁর ভক্তের উপরে৷

পুরাণে বলা আছে সন্তোষী মা হলেন স্বয়ং সিদ্ধিদাতা গণেশের মেয়ে, তাই এই দেবীকে সন্তুষ্ট করতে পারলে জীবনে সুখ-শান্তি ভরে উঠবে। গণেশের দুই ছেলে শুভ ও লাভের ভগনীর ইচ্ছাপূরণের জন্যেই আবির্ভূত হন মা সন্তোষী। শুক্রবারে পূর্ণিমা তিথিতে মা সন্তোষীর জন্ম হয়। তাই ওইদিনে দেবীর পূজা অর্চনা করলে দেবি ওই ভক্তের উপর প্রসন্ন হন। নেপাল উত্তর ভারতে দীর্ঘদিন ধরে এই দেবীর আরাধনা করা হয়। এখন বহু বাঙালি মহিলারা এই দেবীর ব্রত পালন করেন।

এই দেবীর পূজা অর্চনাতে টক ছোঁয়াও যায়না। ছানা প্রস্তুত করা বা তা থেকে মিষ্টি করা হয় বলে মিষ্টি ও এই পুজোতে কাজে লাগে না। পুজোতে নারকেল অতি পবিত্র বস্তু বলে ধরা হয়। একবারে নারকেল ফাটিয়ে সেই জন এই দেবীর আরাধনাতে কাজে আসে। নারকেল যদি একবারে ফাটানো না হয় তাহলে সেই নারকেল এই পুজোতে ব্যবহার করা যায় না। মা সন্তোষীর আরাধনাতে বালক ভোজন করাতে হয়।