বিগত ১০ বছর ধরে মা-কে খুশি দেখেননি! সইফ-অমৃতার বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সারা

48
বিগত ১০ বছর ধরে মা-কে খুশি দেখেননি! সইফ-অমৃতার বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সারা

সইফ-অমৃতার বিচ্ছেদ নিয়ে অকপট মেয়ে সারা আলি খান। সইফ-অমৃতার ২০০৪ সালে বিচ্ছেদ হয়। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের সময় কেমন অনুভূতি হয়েছিল বড় মেয়ের ?

এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী সারা আলি খান। বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান-অমৃতা সিং কন্যা সারা আলি খান এবং ছেলে ইব্রাহিম আলি খান। বহু বছর আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে সইফ এবং অমৃতার। দুই ছেলেমেয়ে অমৃতার কাছেই থাকে।

সইফ-ই ছেলে মেয়ের ভরন-পোষণের সব দায়িত্বই বাবা হিসেবে পালন করেন। ১৯৯১ সালে নিজের থেকে বয়সে ১০ বছরের বড় অভিনেত্রী অমৃতা সিং-কে বিয়ে করেন সইফ। এরপরই দম্পতির দুই ছেলেমেয়ে হয়।

এই তারকা দম্পতির ২০০৪ সালে বিচ্ছেদ হয়। ২০১২ সালে করিনা কাপুর খানকে দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন সইফ। বিয়ের পর পতৌদি দম্পতির আরও দুই ছেলে হয়েছে তৈমুর এবং জেহ। কিন্তু বাবা হিসেবে সারা-ইব্রাহিমের প্রতি সব সমস্ত দায়িত্ব হামেশাই পালন করে এসেছেন পতৌদি নবাব।

অভিনেত্রী সারা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাবা-মায়ের ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুলেছেন। সারা-র কথায়, তাঁদের দুজনকে বিচ্ছেদ হতে দেখা সত্যিই তাঁর কাছে ততটা কঠিন ছিল না। সারা জানিয়েছেন, তিনি নিজের বয়সের তুলনায় অন্যান্যদের থেকে আগাগোরাই একটু বেশি ম্যাচিউর ছিলেন। মাত্র ৯ বছর বয়সেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, একই ঘরে থাকা দুজন মানুষ একে অপরের সঙ্গে সুখী ছিল না। দুজনে আলাদা ঘরে থাকতে শুরু করার পরই, খুশি থাকতে শুরু করেন। বিগত ১০ বছর ধরে অভিনেত্রী তাঁর মা-কে খুশি দেখেননি।

তিনি বলেন, ‘ওঁরা দুজনেই নিজেদের জায়গায় খুব সুখে আছে। আমি আমার মা-কে হাসতে, মজা করতে এবং বোকামো করতে দেখি। সেগুলি আমি অনেক বছর ধরে মিস করে এসেছিলাম। এই ভাবে দেখতে পেয়ে অন্যরকমের স্বস্তি পাই’।