ডিম শুধু স্বাদের জন্য নয়, পুষ্টির জন্যও আমরা ডিম খেয়ে থাকি। ডিম ওজন নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরে প্রোটিনের জোগান দেয়। প্রোটিন ছাড়াও ডিমে রয়েছে ভিটামিন ৬, ভিটামিন ১২, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম-ম্যাগনেশিয়াম-সোডিয়াম, থিয়ামিন, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি।
ডিমের কুসুমে কোলেস্টরল থাকে বলে অনেক সময় ডিম খাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে একটি ডিমের কুসুমে মাত্র ১০০ থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। ডিমের সাদা অংশে কোলেস্টেরল থাকেনা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে কোলেস্টেরল বেশি থাকলে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খাওয়াই ভাল। তাঁর মতে, ওজনের সমস্যা থাক বা না থাক, সপ্তাহে তিন চারটির বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। কারণ ডিমের ভিতরে থাকা অ্যাভিডিন নামের গ্লাইকোপ্রোটিন আমাদের শরীরের ভিতরে বায়োটিনকে শোষণে বাধা দেয়।
বায়োটিন আমাদের শরীরের খুব প্রয়োজনীয় উপাদান। বায়োটিন চুল ভাল রাখতে এবং ত্বক-নকের গঠনে সাহায্য করে। বায়োটিনের অভাব হলে মস্তিষ্কের উপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই ডিম খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনা ভাল। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম কুমার গুপ্তের মতেও, সুস্থ মানুষের দিনে একটি এবং সপ্তাহে ৪ টির বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়।