আমাদের মধ্যে অনেককেই বলতে শোনা যায় যে, এখন আমরা খাঁটি জিনিস খেতেই পারি না। বেশিরভাগ খাবারে ভেজাল থাকে। সম্প্রতি মাংস নিয়ে আমাদের মধ্যে ভয় সঞ্চার হয়েছিল। অনেকদিন বাইরের মাংস খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছিল। কিন্তু আর যদি সত্যি ভাগাড়ের মাংস আমাদের দেওয়া হয়, আমরা কিন্তু না বুঝেই তৃপ্তি করে খেয়ে ফেলবো। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কত জীবাণু আর পোকা আমরা খাচ্ছি তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই।
বিবিসির একটা রিপোর্টে জানা গেছে যে, বেশিরভাগ খাবারে ফুড কালার যোগ করার জন্য সেই খাবারে ক্ষতির মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। জেলি, সফট ড্রিঙ্ক অথবা যেকোনো কেক, এই সমস্ত খাবারে মেশানো থাকে বিষাক্ত ফুড কালার। ফুড কালার রয়েছে কর্মাইন নামে একটি জিনিস, যা তৈরি হয় কিছু পোকা থেকে।
এই পোকা চাষ করা হয় পেরুর মাটিতে। সে পোকা গুলোকে পিষে তৈরি করা হয় নানা রঙের উপাদান। শুধুমাত্র খাবার নয়, বিভিন্ন প্রসাধনীতে ও যোগ করা হয় এই সমস্ত ফুড কালার। দই থেকে আইসক্রিম, সবকিছুতেই ব্যবহার করা হয় ফুড কালার। এটি ব্যবহার করার অন্যতম কারণ হলো, নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী। তাপ বা আলোর কারণে নষ্ট হয়ে যায় না।
৫০০ বছরেরও আগে থেকে দক্ষিণ আমেরিকার একটি গোষ্ঠীর মানুষেরাই পোকার ব্যবহার করত। কৃত্রিমভাবে খাবারে রঙে র তারতম্য আনার জন্য এটি ব্যবহার করা। কার্মাইন নিয়ে গবেষণা করেছেন অ্যামি বাটলার গ্রীনফিল্ড। তিনি বলেছেন যে, খুব কম মানুষেরই এই খাদ্য উপাদানের সমস্যা তৈরি হতে পারে। সব মিলিয়ে এটি খাবারের উপাদান হিসেবে খুব একটা খারাপ কিছু নয়। বিশ্বে বেশিরভাগ কারমাইন তৈরি হয় পেরু থেকে।
স্ত্রী লিঙ্গের পোকাগুলি চাষ করা হয়।এর কারণ হলো স্ত্রী লিঙ্গের পোকাগুলি উড়তে পারে না। প্রতিবছর যেভাবে সারাবিশ্বে কারমাইন এর চাহিদা বেড়েছে, তার সঙ্গে বেড়েছে তার দাম। গত চার বছরে তার মাইনের দাম বেড়েছে ৭৩ শতাংশ। টমেটো বা চেরি থেকে যে রং তৈরি করা হয়, তা দীর্ঘস্থায়ী হয়না। তাই কর্মাইনের এর চাহিদা অনেকটাই বেশি অন্য সবকিছু থেকে।