কিভাবে একজন কূটনৈতিক থেকে রাজনৈতিক হয়ে উঠলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর? জানুন

12
কিভাবে একজন কূটনৈতিক থেকে রাজনৈতিক হয়ে উঠলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর? জানুন

বাবাকে সচীব পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী, এদিকে রাজীব গান্ধী তাকে সাসপেন্ড করেছিলেন। পুরোনো কথাই এবার সংবাদ সংস্থা এ এন আই এর পডকাস্টে উগড়ে দিলেন বর্তমান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। একটা সময় তিনি ছিলেন কূটনোইতিক এখন তিনি একজন রাজনীতিক। গান্ধী পরিবার তার বাবার সাথে কেমন ব্যবহার করেছিলেন সেটাই এবার সবার সামনে প্রকাশ করলেন। একটা সময় ভারতের হয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন এস জয়শংকর। কিন্তু ২০১৯ সালে হঠাতই তিনি একজন রাজনীতিক হয়ে ওঠেন।

মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই তিনি বিদেশ মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। রাজ্যসভার সদস্য করা হয় তাকে। এবার তিনি পডকাস্টে এমন কিছু কথা বললেন যা তার বাবার সাথে ঘটা কয়েকটি ঘটনা নিয়ে। তার বাবা ১৯৮০ সালে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উতপাদন দফতরের সচীব ছিলেন। কিন্তু ততকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাবাকে সেই পদ থেকে সড়িয়ে দিলেন। তারপরে রাজীব গান্ধীর জামানায় তাকে সাস্পেন্ড করা হলেও বলে জানান তিনি। তার বাবার থেকে জুনিয়র কাওকে করা হয়েছিল ক্যাবিনেট সচিব।

তবে জয়শংকর কিভাবে একজন কূটনৈতিক থেকে রাজনৈতিক হয়ে উঠলেন সেটা জানতে চাইলে তিনি জানায়, সর্বদা কর্মজীবনে শ্রেষ্ঠ অফিসার হতে চেয়েছিলেন তিনি। তার মনে বিদেশ সচিব হওয়ারও একটা ইচ্ছা ছিল প্রথম থেকেই। আমেরিকা, চিনের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তবে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব। তার বাবা দেশের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন। জয়শংকরও সর্বদা শ্রেষ্ঠ হতে চেয়েছিলেন , একেবারে তার বাবার মতোই। তার বাবা ১৯৭৯ সালে জনতা সরকারের জামানায় সবথেকে কম বয়সী সচিব হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮০ সালে বাবাকে সচিব পদ থেকে সরিয়ে দেয়।আমার বাবা সোজা কথাকে সোজা হিসেবেই বলতে ভালবাসতেন। তার জন্য রাজীব গান্ধীর সময় আমার বাবাকে সাস্পেন্ড পর্যন্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আমার দাদা যখন সচিব হয়েছিল তখন বাবা খুবই গর্ববোধ করেন। এরপর আমি যখন সচিব হই তখন আমার বাবা বেচে নেই। কিন্তু ২০১৮ সালে অবসরের সময় আমিই খুবই খুশি ছিলাম।