ইলিশ মাছই বদলে দিল এক মৎস্যজীবীর জীবন

30
ইলিশ মাছই বদলে দিল এক মৎস্যজীবীর জীবন

ইলিশই বদলে দিল এক মৎস্যজীবীর জীবন। বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে। ৪ঠা মে বুধবার লাদেশের ধলীগৌরনগর বাত্তির খাল ঘাটে এক মৎস্যজীবীর জালে দুটি আড়াই কেজির ইলিশ ধরা পড়ে। আর এই দুই পাঁচ কেজির ইলিশ এত টাকায় বিক্রি হয়েছে যা শুনলে আপনার চোখ অবশ্যই কপালে উঠবে। এ প্রসঙ্গে মৎস্যজীবী গিয়াস উদ্দিন বলেন, “৪ মে দুপুর ১২টা নাগাদ লালমোহনের বাত্তির খালে তারা মোট ১১ জন মৎস্যজীবী মিলে মাছ ধরতে যান। তাঁদের জালে ধরা পড়ে প্রায় ২০টি ইলিশ। এরই মধ্যে দুটি ইলিশের ওজন আড়াই কেজি করে মোট পাঁচ কেজি। এত বড় মাছ এর আগে তাদের জালে ধরা পড়েনি। এই ইলিশগুলি মোট ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে ওই দুই আড়াই কেজি ওজনের ইলিশের এত দাম পাব ভাবিনি। আড়তে সাত হাজার ৯০০ টাকায় তা বিক্রি হয়েছে।”

মৎস্যজীবীদের কথায়, এই খালে এখন প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি বছরই বর্ষাকালে জালে ইলিশ ওঠে। আর এই সময়টিকেই ইলিশের মরশুম বলা যেতে পারে। কিন্তু, এখনও বর্ষা শুরু হতে প্রায় এক মাস বাকি আছে। তার আগেই জালে ইলিশ ওঠায় এবারে আশাবাদী মৎস্যজীবীরা। বর্ষা শুরু হলে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি ইলিশ আসতে শুরু করবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, ৩০ এপ্রিল ইলিশ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। পটুয়াখালীর মহিপুর, বরগুনার পাথরঘাটার মৎস্যজীবীদের একাংশের আক্ষেপ, এই বছর তাঁরা পর্যাপ্ত ইলিশ পাচ্ছেন না। কারণ হিসেবে তাঁরা জানাচ্ছেন, এই বছর নদী থেকে সাগরে স্বাদু জল কম প্রবেশ করেছে।

মৎস্যজীবীদের কথায়, “পূর্ণিমার সময় বেশি জোয়ার থাকে। সেই সময় হয়তো জালে বেশি ইলিশ পড়বে। তাছাড়া এই বছর জোয়ারে জলের উচ্চতা কম হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর জালে কম ইলিশ উঠছে। যদিও বর্ষা এলে পরিস্থিতি বদলাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।”