অনেকেই আছেন যাদের নিজের বাসস্থান অনেকটা বড় হবার কারণেই তারা অন্য কোনো দম্পতি অথবা মানুষকে থাকার জন্য ভাড়া দিয়ে দেন। অপরদিকে যারা চাকুরীজীবী অথবা স্টুডেন্ট, যাদের প্রয়োজনে বাড়ি থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে হয় তারা এই ভাবে অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
ভাড়া থাকার ক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটিয়া দুজনকে কিছু নিয়ম পালন করে যেতে হয়। আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো, ঠিক কী কী কারণে ভাড়াটিয়া এবং বাড়িওয়ালাদের মধ্যে সম্পর্ক সুন্দর এবং স্বাভাবিক থাকবে।
ভাড়াটিয়া হিসেবে আপনার দায়িত্ব
ভাড়াটিয়া বলে কিন্তু আপনি তার ঘর খারাপ ভাবে ব্যবহার করবেন না। নিজের বাড়ির মত যত্ন এবং পরিষ্কার রাখতে হবে আপনাকে।
বাড়িতে যদি কোন কেয়ারটেকার থাকে তাকে দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানো থেকে বিরত থাকুন।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বিল, সবকিছুর মেটানোর চেষ্টা করুন।
ভাড়া বাড়িতে বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে পানীয় জল সবকিছুই ভাড়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে। কিন্তু তাই বলে এটিকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যবহার করবেন না। অপচয় মানসিকতা পরিত্যাগ করে সুস্থভাবে সেগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
আপনার কোন অভিযোগ থাকলে তা বাড়ির মালিককে জানান। আগের কোন বাড়ির সঙ্গে এই বাড়ির তুলনা করবেন না।
বাড়িওয়ালা কে না জানিয়ে অন্য কাউকে আপনার রুম ভাড়া দেবেন না।
ভাড়া নেবার সময় যতজন থাকবেন বলে বলেছেন, সেই কথা রাখার চেষ্টা করুন।
ঘরের বাইরে গিয়ে বাড়িওয়ালার বদনাম করবেন না। ভাড়াবাড়ি অথবা ফ্লাটের সীমাবদ্ধতা অন্যদের বলে বেড়াবেন না।
এবার বলি বাড়িওয়ালা হিসেবে আপনার দায়িত্ব কি
বাড়ি ভাড়া দেবার আগে ভাড়াটিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে নেবেন।
বাড়ি ভাড়া দেবার আগে তার পরিচয় পত্রের সমস্ত কপি সংরক্ষণ করে রাখুন নিজের কাছে।
অতিরিক্ত ভাড়া না রেখে, যুক্তি সীমার মধ্যে নির্ধারণ করুন বাড়ি ভাড়া।
ভাড়া দেবার আগে সমস্ত নিয়ম ভাড়াটিয়াকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিন।
ভাড়া দিতে না পারলে উত্তেজনার বশে অশ্লীল কথাবার্তা বলবেন না। প্রয়োজনে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করুন।
দারোয়ানকে দিয়ে ভাড়াটিয়াকে অপদস্থ করবেন না।
বাড়ি ভাড়া থেকে উঠিয়ে দেবার আগে নোটিশ দেবার চেষ্টা করুন।
ভাড়াটিয়াদের কোন চিঠি অথবা মেসেজ পৌঁছে দিতে একেবারে দেরি করবেন না।
এডভান্স এর টাকা চুক্তি শেষ হয়ে গেলে ফেরত দিতে দেরি করবেন না।