হঠাৎ করে কোন কিছু করতে গিয়ে আমাদের কাঁধে ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। তারপর ব্যথা বাড়তে থাকে। কোনো ভারী কিছু তুলতে গেলেই অসহ্য যন্ত্রণা হয়। কাঁধের ব্লেডের মাঝে ঘটে যাওয়া ব্যথা খুবই সাধারণ ব্যথা। ডাক্তারি ভাষায় বলে ইন্টারস্কেপুলার পেইন বলে। যখন এই ব্যথা যখন শুরু হয় তখন মনে হয় কেউযেন ভিতরে বন্দুকের গুলি ছুঁড়ছে। চিনচিন করে একটানা ব্যথাও অনুভব হয়। এই ব্যথাটা হয় ঠিক পিঠের দিকে উপরে। চলুন এবার এই যন্ত্রণা কমানোর কিছু টিপস আপনাদের কে দেব।
সোলডার ব্লেড কী– পিঠের উপরে যে ত্রিকোনা হার্ট থাকে তাকে বলা হয় সোল্ডার বেল্ট। এই ব্লেডের জন্যই আমরা আমাদের কাঁধকে উপরে-নিচে আশেপাশে নাড়াতে পারি।
এই ব্যথা কেন হয়? ১. কোনও ভাবে কাঁধে লেগে গিয়ে এই ব্যথা হতে পারে। ২. বেশিক্ষণ ধরে চেয়ারম্যান বসে কাজ করলে এই ব্যথা হতে পারে। ৩. ভারী কিছু নীচে থেকে উপরে তুলতে গিয়ে কাঁধে লেগে যেতে পারে। ৪. ফুসফুসে কোনো প্রকার সমস্যা হলেও তাতে যন্ত্রণা হয়। ৫. হার্ট অ্যাটাক হলেও কাঁধে ব্যথা অনুভব করা যায় বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা হয়ে থাকে। ৬. গলব্লাডারের সমস্যা হলেও কাঁধে ব্যথা হয়।
কিভাবে শনাক্ত করবেন? আপনি যখন ডাক্তারের কাছে যাবেন তখন ডাক্তার আপনার সাথে কথা বললে বুঝবেন যে আপনার ব্যাথাটা কিসের থেকে হয়েছে। এছাড়াও তিনি কিছু টেস্ট আপনাকে করতে দেবেন। সেই টেস্ট গুলি হল– এনডোসকপি, ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম, এমআরআই বা সিটি স্ক্যান, নানা রকমের ব্লাড টেস্ট। তারপর ডাক্তার আপনাকে ব্যথা কমানোর জন্য কিছু ওষুধ দেবেন। আপনি নিজেও ব্যথা কমানোর জন্য বাড়িতে কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
ঠান্ডা-গরমের সেক– ঠান্ডা-গরমের সেক ব্যাথা নিরাময়ের খুব ভালো ঔষুধ। 5 মিনিট করে করে মোট তিনবার এই সেক দিন দেখুন ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
মেস্যাজ থেরাপি– ম্যাসাজ থেরাপির মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যথা নিরাময় করতে পারবেন। ম্যাসাজ থেরাপির ট্রেনিং আছে এমন লোককে দিয়ে আপনার কাঁধের ম্যাসাজ করান দেখুন খুব তাড়াতাড়ি আপনার ব্যথা চলে যাবে।
হেলদি ডায়েট– কাঁধের ব্যথা কমানোর জন্য আপনি আপনার কাঁধকে শক্ত রাখুন। কাঠ কে শক্ত রাখার জন্য আপনি আপনার ডায়েট চার্টে অবশ্যই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারকে রাখুন।
ভারী জিনিস তোলা থেকে বিরত থাকুন– কাঁধে ব্যথা কমানোর জন্য অবশ্যই আপনি ভারী জিনিস তুলবেন না। ভারী জিনিস তুললে আপনার কাঁধের ব্যথা আরো বেড়ে যাবে।
রোজ ব্যায়াম করুন– শরীরকে কাজ করালে শরীর ভালো থাকে তাই কাঁধের ব্যথা কমানোর জন্য আপনি প্রত্যহ ব্যায়ামের সাহায্য নিন। ব্যায়াম করলে পিসির ওপর চাপ পড়ে তাই কাঁধের সংকোচন এবং প্রসারণ ক্ষমতা বাড়ে।