একেবারেই সত্য এমনটাই বলছে ইউনিভার্সিটি অফ মিসৌরির একটি সমীক্ষা। সমীক্ষা অনুযায়ী জানা গিয়েছে সম্পর্কে অন্য সুন্দর চেহারার পুরুষের থেকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য ভুঁরিওয়ালেরাই মনে করছেন অনেক মহিলা। হিন্দি ছবির হিরোদের মতো সিক্সপ্যাক আর আকর্ষণীয় শরীর গড়ে তুলতেই সকাল থেকে রাত জিম করছেন ভিন্ন বয়সী পুরুষ।
কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষরা অনেকেই সুন্দর জীবনসঙ্গী পাওয়ার আশায় জিমে কসারত করে চলেছেন। এসব উল্টো করেছে বেশ কিছু সংখ্যক মহিলা যারা নিজের জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নিয়েছেন অল্প মেদ বিশিষ্ট ভুঁরিওয়ালা পুরুষ। এই বর্তমান দিনে মহিলারা গোল গাল চেহারার পুরুষেরা নাকি রক্ষণশীল ও ক্যায়ারিং হয় একটু বেশি।
গবেষকদেরও গবেষণায় দেখা গিয়েছে বেশি সুগঠিত সুন্দর দেহের পুরুষ সঙ্গীরা অনেক বেশি অনিশ্চয়তার কারণ। নিজের শরীর ফিট রাখার জন্য পুরুষরা নিজের কাজ ফেলে যদি জিমে ওয়ার্কআউট, ডায়েট কন্ট্রোল নিয়ে ব্যস্ততার ফলে সম্পর্কে নানান সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও জিম ধারনকারীদের খাবার নিয়ে ভিন্নমত তাই মহিলারা হুষ্টপুষ্ট মোটা পুরুষদের বেশি পছন্দ কারণ খাবার নিয়ে তাদের কোনো প্রশ্ন নেই।
যুগের হাওয়া বদলায় বেশ শোনা যায়। বিজ্ঞানীরা ওটাই বলছেন বিবর্তন ও যুগের প্রভাবেও রয়েছে এর পেছনে। মোটা নাদুস-নুদুস পুরুষরা নাকি বেশি সংসার মনোযোগী হয়, পরিবারের সদস্যদের অনেক সময় দেয় ও যত্নবান হয়। এইসবই মনে করেন মহিলারা।
হিংসুটি নাম শুনেছেন কখনো ঠিকই ধরেছেন মহিলারা নিজের শরীর নিয়ে একটু বেশি সচেতন। ওইসব মহিলারাই মোটা ভুরিওয়ালাদের বেশি পছন্দ করেন। তারা নিজেরাই মনে করেন মোটা শরীর বিশিষ্ট পুরুষদের পাশে ওদের একটু বেশি রোগা ও স্লিম লাগে। তাই ওরা ভুঁরিওয়ালা নিয়েই সন্তুষ্ট।
তবে শরীর আগে তাই মহিলারা হুষ্টপুষ্ট মোটা পুরুষদের বেশি পছন্দ করে বলে আপনারও স্থূল জাতীয় খাবার যেমন বিরিয়ানি, চকলেট, বেশি করে খাবেন না। মোটা নয়, হালকা ভুঁড়িইওয়ালা যাকে হাল ফ্যাশানে ড্যাডবড বলা হয়ে থাকে। যিনি নিজের কাজের পাশাপাশি খুশি মত জিম যাওয়া ফ্যাট জাতীয় খাওয়া দাওয়া করে ও অল্প ভুঁরি বিশিষ্ট নিজের মর্জির মালিক এসব পুরুষদেরই প্রতি মহিলারা বেশি আকর্ষিত।