পুজোর আমেজ ফুরলেই শীত যেন আমাদের মাঝে উপস্থিত। কালী পুজোর পরেই হালকা পাতলা সোয়েটার অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন। পৌষ-মাঘ না আসতেই শীতকাল এসে হাজির। শীতকাল অনেকেরই খুব প্রিয়ঋতু।
তবে ভয় ঠান্ডাটা কাটবে কিভাবে? দিনের বেলা সূর্যের আলোয় উজ্জ্বল থাকলেও রাত্রে বেশ ঠান্ডা। নিজের শরীরকে ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে এখন বক্সে গোছানো কম্বল, লেপ, কাঁথাই একমাত্র সম্বল ।
“যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই নাকি সন্ধে হয়” ঠিক একই ব্যাপার ঘটে আমদের সাথেও। শীত খুব ভালো তবে যখন স্নানের সময় হয় নিজের সাহসী শরীর শিউরে ওঠে ঠান্ডার ভয়ে। তবে আমরাও ঠান্ডার ভয়ে স্নান করব না এমন টাও নয় তাই ভরসা গরম জল।
উষ্ণ গরম জল পেলে শরীর যেন খুব খুশি।আগে উনুনে এখন গ্যাসে গরম জল করতেই অনেক সময় নষ্ট। আবার দৈনন্দিন জীবনে সবার হাতে সময় খুব কমই। তাড়াতাড়ি গরম জলের অপেক্ষার অবসানের একটি উপায় গিজার বা মোটর চালিত বৈদ্যুতিক হিটার।সময় বাঁচানোর সুন্দর উপায়।
এখন যেকোনো জিনিস মানেই ভিন্নরকমের কোম্পানী ও ভিন্ন মূল্যের। গিজার গুলোও বিভিন্ন প্রকার ছোট বড় মাঝারি আকারের তবে মূল্য লিটার মাফিক হয়ে থাকে। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই হিটার ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বাড়ি- হোটেল-ফ্ল্যাট সব জায়গায় গিজার এর ব্যবহারই অনেক বেশি।
সুইচ অন করলেই যেন নিমেষেই গরম জল। তেমনি আমাদের প্রয়োজন সেটিকে সাবধানে ব্যবহার করা কারণ গিজার বৈদ্যুতিক। শুধু যে শীতকালেই গিজার দরকার তাও নয় আমাদের প্রায় সারাবছরই গরম জল প্রয়োজন হয় বাড়ির শিশু ও বয়স্ক দাদু-ঠাকুমাদের জন্য।
নিজের শরীরের পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে গিজারেরও। কিছু বিষয় বিশেষ ভাবে জনে নেব-
* প্রাথমিক অবস্থায় গিজারটি সুন্দর করে কানেক্ট করতে হবে। বৈদ্যুতিক তার ও পাইপ গুলো যুক্ত হয়েছে কিনা দেখে নিতে হবে।পাইপ গুলো উন্নত মানের আয়রনের ব্যবহার করা দরকার।
*জল কেমন উষ্ণতায় (খুব কম না বেশি) সেদিকে নজর রাখতে হবে।
* গিজার টি আপনা আপনি বন্ধ ও কেমন চলছে কোনো ত্রুটি আছে কিনা দেখতে হবে। ত্রুটিমুক্ত করতে ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
* অহেতুক ভাবে চালিয়ে রাখা যাবে না বিনা কারণ চালালে বিদ্যুৎ খরচ ও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
* মাঝে মাঝে খুলে পাইপ গুলো পরিষ্কার করতে হবে ও সব কিছু লক্ষ রেখে গিজারটি ব্যবহার করতে হবে।