শীতের আগমন মানেই যেন বিয়ের মরসুম শুরু। শীত থাকতে থাকতেই অনেকে বিয়ের শুভ কাজটা সেরে নিতে চান। এর পেছনে অবশ্য অনেক যুক্তি সঙ্গত কারণও রয়েছে। অসহনীয় গরমে তেতে, বর্ষায় বৃষ্টির জলে ভিজে আর কে বিয়ে করতে চাইবে? তাই বিয়ের জন্যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শীতকালটিকেই উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। শীতকালে বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজনে ঠিক কী কী সুবিধা মিলতে পারে? বেছে বেছে প্রধান সুবিধাগুলিকেই আজ এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো।
প্রথমত, শীতকালে পরিশ্রম করেও আরাম পাওয়া যায়। একটা অনুষ্ঠান ঠিক ঠিকভাবে পালন করতে আয়োজন কর্তাদের রীতিমতো কালঘাম ছুটে যাওয়ার জোগাড় হয়। আর বিয়ে তো অনেক অনুষ্ঠানের সমাবেশ। পরিশ্রমও বেশী। তাই গরমের তুলনায় শীতে পরিশ্রম করলেও তেমন কষ্ট হয় না। বরং কাজে এনার্জি পাওয়া যায়, ক্লান্তি আসে না।
দ্বিতীয়ত, বিয়ে বাড়ি মানেই সাজগোজ। কনে হোক বা আত্মীয় স্বজন, বিবাহ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সকলেই কিছু না কিছু সাজগোজ করেন। গরমে ঘামের সঙ্গে মেকআপ গলে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু শীতে সেই সমস্যা নেই। ফলে শীতে পরিশ্রমের পাশাপাশি সাজগোজ করেও যেন স্বস্তি মেলে।
তৃতীয়ত, বিয়েতে কী শুধু কনে এবং আমন্ত্রিত অতিথিরাই সাজবেন? অনুষ্ঠানের বাড়িটিকেও তো সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে হবে। শীতকালে সুগন্ধি, সতেজ নানান ধরনের ফুল পাওয়া যায়। ফলে কৃত্রিম ফুলের অতিরিক্ত খরচের হাত থেকে রেহাই মেলে। শীতে আবার ফ্যানের কোনো প্রয়োজনীয়তাও নেই। তাই অনুষ্ঠান চলাকালীন এবং অনুষ্ঠানের শেষে আরাম করার জন্যেও ফ্যানের দরকার পড়ে না। যার ফলে বিদ্যুৎ বিলেরও বেশ সাশ্রয় হয়।
আরও আছে, শীতে মশার উপদ্রব কম। তাই অনুষ্ঠান শেষে আরাম করার ক্ষেত্রে মশারীর টাঙানোর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। লেপ কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লেই হলো। আবার বিয়ের পর হানিমুনেও বেরিয়ে পড়া যায় নির্বিশেষে। জীবন সঙ্গীর সঙ্গে বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই শীতের আমেজ উপভোগ করা যাবে। তাই বুদ্ধিমানরা কিন্তু বিয়ের জন্য শীতকালকেই এগিয়ে রাখেন।