হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে মহিমা চৌধুরী একটি বিশেষ নাম। এক একটি সুপারহিট সিনেমা তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। ১৩ই সেপ্টেম্বর অভিনেত্রী ৪৮ এ পা দিলেন। অভিনেত্রীর রিল লাইফ যেমন বর্ণময় তেমনি তাঁর রিয়েল লাইফও। জীবনের প্রত্যেকটা সময়েই তাঁর গেছে চড়াই-উৎরাই, তাঁর জীবনের গল্প সিনেমার থেকে কিছু কম মনে হবে না। একাধিকবার তিনি বিভিন্ন প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে আজ সাফল্যর পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন। এই প্রতিবেদনে আমরা এই অভিনেত্রীর বিষয়েই জানবো কিছু অজানা তথ্য।
সম্প্রতি কিছু সময় আগেই আমরা অবগত হই অভিনেত্রীর শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে। জানা গেছে অভিনেত্রী মারণ রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত। তিনি ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত, এরকম পরিস্থিতিতে তিনি তাঁর কাজ চালিয়ে গেছেন সাথে তিনি মায়ের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। জানা যায় শুধু এই সময় নয় এর আগেও ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে তিনি এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, দুটি ছবি “পরদেশ” এবং “দাগ” এরপর অজয় দেবগনের ছবি “দিল কেয়া কারে” তে কাজ করেছিলেন। এই সময় স্টুডিওতে একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেখানে গাড়ির সমস্ত কাঁচ ভেঙে তাঁর মুখে এসে লাগে, যার ফলে গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে আয়নায় নিজের মুখ দেখেই তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।
অভিনেত্রী জানান, অপারেশনের পরে তাঁর মুখ থেকে প্রায় ৬৭ টি কাঁচের টুকরো বের করা হয়। এরপরে তাঁর যুদ্ধ শেষ হয়নি, শুরু হয় ব্যক্তিগত জীবনে নানান সমস্যা। ২০০৬ সালে তিনি বিয়ে করেন ববি মুখোপাধ্যায়ের সাথে। সাত বছরের মাথায় তাদের এই সম্পর্ক ভেঙে যায়, ২০১৩ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তবে বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও তাঁর একমাত্র কন্যা আরিয়ানা মাহিমার সঙ্গেই থাকে।
অভিনেত্রী জানান, তাকে দুবার গর্ভপাত করাতে হয়েছিল, এ ঘটনার জেরে তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন। বিবাহ বিচ্ছেদের পর নিজের ইনকামে তিনি নিজের মেয়েকে বড় করে তুলেছেন। একজন মায়ের দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে কর্মজীবনে ব্যস্ত থাকা দুটোই তাঁর কাছে খুব কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু সেই সময় প্রয়োজন ছিল টাকা, তাই তাকে উপার্জন করতে হতো। তিনি কয়েকটি টিভি শোতে বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন এমনকি কিছু কিছু ফাংশনের ফিতে কেটেও বেশ ভালোরকম টাকা উপার্জন করেছিলেন। অভিনেত্রী জানান, অতীত হয়তো কেটে গেছে কিন্তু অতীতের কথা ভাবলে তাঁর আফসোস হয়, যে তিনি একজন সফল অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও অনেক কিছুতেই ব্যর্থ হয়েছেন।